বিজ্ঞাপন দিন

"জলঢাকা 'আলোর কণা'য় সাপ্তাহিক কুইজ ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতা"

রবিউল ইসলাম রাজ,জলঢাকা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় সামাজিক সংগঠন আলোর কণা'র ফ্রি পাঠদান কেন্দ্রের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সাপ্তাহিক কুইজ ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতা হয়েছে।শুক্রবার সকালে দুন্দিবাড়ী কেন্দ্রে এ প্রতিযোগিতা হয়।প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা হয়েছে।অনুষ্ঠানে আলোর কণা'র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফুরাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ জসির ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জালঢাকা উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোহাম্মদ মোনাব হোসেন। প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়,এ সপ্তাহের প্রতিযোগিতায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার লাভ করেন যৌথভাবে সাব্বির ও তুষী এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার লাভ করেন ফিরোজ ও অভি,দ্বিতীয় শ্রেণীতে যৌথভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেন দীপ্তি ও ইতি এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন ফরহাদ,তৃতীয় শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন নূরানী এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মারুফা ও সুশীল,চতুর্থ শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার লাভ করেন শাকিব ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার লাভ করেন তুশিতা রানী রায়,পঞ্চম শ্রেণীতে ক শাখায় কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন সোমা ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন জান্নাতি এবং তৃতীয় স্থান যৌথভাবে অধিকার করেন মোনা, মুনিয়া, রহিমা, নিপা,খ শাখায় প্রথম স্থান অধিকার করেন নাহিদ,রনি,তারিন,ষষ্ঠ শ্রেণীর কুইজ প্রতিযোগিতা প্রথম স্থান অধিকার করেন মিষ্টি ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মুন্নি প্রমূখ।উল্লেখ্য,অরাজনৈতিক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'আলোর কণা'। ২০১২ সালে কর্মোদ্দীপনা ফুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে শিক্ষিত যুবক/যুবতী মাধ্যমে আত্নমানবতার সেবায় সংগঠনটি আত্নপ্রকাশ পায়। এ সংগঠনটির মাধ্যমে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ,নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ,বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি,গ্রামীন নারীদের সচেতন করাসহ সেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করে থাকে। এ সংগঠনের আওতায় ২০১৫ সালে জলঢাকা উপজেলা উত্তর দিকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরে দুন্দিবাড়ী অজোপাড়া গ্রামে একটি ফ্রি পাঠদান কেন্দ্র চালু করে।এখানে অসহায় পরিবারের সহস্রাধিক শিশুরা পড়তে আসে।উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে ১১টি ফ্রি পাঠদান কেন্দ্র চালু আছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রায় ১ শত করে মোট ১ হাজার ছাত্র ছাত্রী আছে। প্রত্যেক সপ্তাহের ক্লাস শেষে শিশুদের মেধা মূল্যায়নের জন্য কুইজ,রচনা,চিত্রাঙ্কন,বক্তৃতা,সাধারণ জ্ঞান,সুন্দর হাতের লেখা ও বঙ্গবন্ধু জীবনী নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও দেয়া হয়।সংগঠনটি টিনসেটে ঘেরা। এখানে ১টি শ্রেণী কক্ষ,সততা স্টোর,মানবতার দেয়াল আছে। ফ্রি পাঠদান কেন্দ্রটি দেখতে প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন পেশার মান্যগণ্য ব্যক্তিরাও অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন । এ সপ্তাহে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা জসিম বলেন,মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সকলের চেতনা। আমরা যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। আমরা শিক্ষায়ও স্বাধীন হতে চাই।কোন শিশু যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়। গ্রামের ছেলে ফুরাদ হোসেন যেভাবে নিরলস পরিশ্রম করে অসহায় শিশুদের পাঠদান দিয়ে যাচ্ছে আসলেই প্রশংসিত।এ জন্য সকলের উচিৎ আলোর কণা ফ্রি পাঠদান কেন্দ্রের বাচ্চাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা।শেষে তিনি শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনায়। আলোর কণা'র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফুরাদ হোসেন বলেন,আমি স্বপ্ন বুনি আলোর কণাকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিবো। সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের কাছে সহযোগিতা পেলে সফল হব,ইনশাআল্লাহ।আসুন সবাই মিলে ঝরেপড়া অসহায় শিশুদের স্কুলমুখী করি,সুস্থ্য সুন্দর সমাজ গড়ি। এ জন্য সকলের আন্তরিকতা ও সাহায্য সহযোগিতা চাই।'আলোর কণা' শিক্ষা ক্ষেত্রে উৎসাহ দেয় মাত্র।