বিজ্ঞাপন দিন

"জলঢাকায় 'আলোর কণা'য় কবিতা আবৃতি ও কুইজ প্রতিযোগিতা"

রবিউল ইসলাম রাজ,স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর জলঢাকায় সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন আলোর কণা'র ফ্রি পাঠদান কেন্দ্রের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সাপ্তাহিক কবিতা আবৃতি ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার সকালে দুন্দিবাড়ী কেন্দ্রে এ প্রতিযোগিতা হয়। আলোর কণা'র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফুরাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা হয়েছে। এসময় বক্তব্য উপস্থিতছিলেন আলোর কণার ফ্রি পাঠদান কেন্দ্রের শিক্ষিকাবৃন্দ প্রমূখ।প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়,এ সপ্তাহের প্রতিযোগিতায় প্লে শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন রিফাত দ্বিতীয় হয়েছেন জান্নাতি,প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন তুলসী দ্বিতীয় হয়েছেন,দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন দীপ্তি দ্বিতীয় হয়েছেন ফরহাদ তৃতীয় শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন মিম দ্বিতীয় হয়েছেন আইরিন,চতুর্থ শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন তুসী দ্বিতীয় হয়েছেন রিভা,পঞ্চম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন জান্নাতি ও দ্বিতীয় হয়েছেন সমা এবং তৃতীয় হয়েছেন উর্মি ও চতুর্থ হয়েছেন তারিন,ষষ্ঠ শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন শাম্মী দ্বিতীয় হয়েছে আঁখি তৃতীয় হয়েছেন মিষ্টি।উল্লেখ্য,অরাজনৈতিক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'আলোর কণা'। ২০১২ সালে কর্মোদ্দীপনা ফুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে শিক্ষিত যুবক/যুবতী মাধ্যমে আত্নমানবতার সেবায় সংগঠনটি আত্নপ্রকাশ পায়। এ সংগঠনটির মাধ্যমে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ,নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ,বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি,গ্রামীন নারীদের সচেতন করাসহ সেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করে থাকে। এ সংগঠনের আওতায় ২০১৫ সালে জলঢাকা উপজেলা উত্তর দিকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরে দুন্দিবাড়ী অজোপাড়া গ্রামে একটি ফ্রি পাঠদান কেন্দ্র চালু করে।এখানে অসহায় পরিবারের সহস্রাধিক শিশুরা পড়তে আসে।উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে ১১টি ফ্রি পাঠদান কেন্দ্র চালু আছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রায় ১ শত করে মোট ১ হাজার ছাত্র ছাত্রী আছে। প্রত্যেক সপ্তাহের ক্লাস শেষে শিশুদের মেধা মূল্যায়নের জন্য কুইজ,রচনা,চিত্রাঙ্কন,বক্তৃতা,সাধারণ জ্ঞান,সুন্দর হাতের লেখা ও বঙ্গবন্ধু জীবনী নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে।প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও দেয়া হয়।সংগঠনটি টিনসেটে ঘেরা। এখানে ১টি শ্রেণী কক্ষ,সততা স্টোর,মানবতার দেয়াল আছে। ফ্রি পাঠদান কেন্দ্রটি দেখতে প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন পেশার মান্যগণ্য ব্যক্তিরাও অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন । আলোর কণা'র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফুরাদ হোসেন বলেন,আমি স্বপ্ন বুনি আলোর কণাকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিবো।আসুন সবাই মিলে ঝরেপড়া অসহায় শিশুদের স্কুলমুখী করি,সুস্থ্য সুন্দর সমাজ গড়ি। এ জন্য সকলের আন্তরিকতা ও সাহায্য সহযোগিতা চাই।'আলোর কণা' শিক্ষা ক্ষেত্রে উৎসাহ দেয় মাত্র।