বিজ্ঞাপন দিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ র‌্যালী ও পথসভা অনুষ্ঠিত

জাহিনুর ইসলাম জীবন, জলঢাকা নিলফামারী প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ও উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বিগত নির্বাচনে দলের বিপক্ষ নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করায় সারাদেশের ন্যায় বিদ্রোহী তালিকা থেকে দলীয় কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রদান করায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ও সাধারন সম্পাদক সড়ক সেতু এবং যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপিকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ র‌্যালী ও পথসভা করেছে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ উপলক্ষ্যে সোমবার সন্ধ্যায় থানা মোড় স্থান বঙ্গবন্ধু প্রজ্বন্মলীগ কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ র‌্যালী বের হয়। র‌্যালিটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে বঙ্গবন্ধু চত্বর সংলগ্ন পুরাতন গরুহাটি মাঠে পথসভায় মিলিত হয়। উক্ত পথসভায় শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র কাঁচু'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর। প্রধান বক্তা ছিলেন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক জোনাব আলী, উপজেলা প্রজ্বন্মলীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক যুবলীগ নেতা ছাইফুল ইসলাম পিঁকু, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সাধারন সম্পাদক মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ্, জেলা রেস্তোরা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি রহিদুল ইসলাম, পৌর মহিলা যুবলীগ সভাপতি শাহানাজ পারভিন, ছাত্রলীগ সভাপতি নলনী বিশ্বাস জয় ও তাঁতীলীগ সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন, গত ১২ই জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ কার্যনির্বাহী সংসদে একটি সমাবেশে গৃহিত হয় যারা সংগঠনের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে এবং সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছি, দলীয় সিদ্ধান্তে তাদের কাছে জবাব চাওয়া হয়। সেই চিঠিটি গত ২১শে জুলাই আওয়ামীলীগের সন্মানিত সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সাক্ষরিত একটি চিঠি আমার কাছে আসে। আমি সেই চিঠির প্রতি শ্রোদ্ধাশীল হয়ে সন্মান জানিয়ে প্রিয় নেত্রীকে জবার প্রদান করেছি। জবাবে উল্লেখ্য করেছি, বিগত ১৯৮৮ সালে ছাত্র রাজনীতির মধ্যদিয়ে আজ অবদী সময় পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে রাজনীতি করে আসছি এবং স্থানীয় নেতাকর্মী সহ অবহেলিত সাধারণ মানুষের সেবার মাধ্যমে নিবেদিত প্রাণের নেতা হয়েছি। এ সময়ে আমি বিভিন্ন হামলা মামলার স্বীকার হয়েছিলাম তবুও সংগঠনের সঙ্গে কখনো বেঈমানী করিনি। সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে ও আমার রাজনৈতিক জীবন বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কার্যনির্বাহী সংসদ আমার সকল দোষত্রুটি ক্ষমা করে দিয়েছেন। এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আমার সমর্থকরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ র‌্যালী পালন করেছে। তাই আমি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।