বিজ্ঞাপন দিন

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে উপজেলা কমিটিতে স্থান না পেলেও জেলা কমিটিতে যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হলেন, প্রশ্নবিদ্ধ শুদ্ধি অভিযান।

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি ঃ গত ২২ শে অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে তিনজন ও সাধারন সম্পাদক পদে দুইজন প্রার্থীতা করলেও দূর্নীতি ও নানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্মেলন স্থগিত হয়। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য ও তাঁর নিজস্ব সার্ভে টীমের তথ্য উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে কেন্দ্র হতে সভাপতি পদে আকতার হোসেন বাদলকে গ্রীন সিগনাল দেন। বাকী থাকে সাধারন সম্পাদক পদ এই পদে দুইজন প্রার্থী জিকো আহমেদ ও মোকছেদুল মোমিন। চলমান শুদ্ধি অভিযানের তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের নামে নানান অভিযোগ থাকায় তারা দুইজনই বাদ পড়েন। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শহীদ পরিবারের সন্তান সাবেক জেলা যুবলীগ সভাপতি মহসিনুল হক মহসিনকে সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত করেন যা নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ এর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধমে জানানো হয়। কমিটি ঘোষনার পরপরই সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায় এবং সবাই জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূর্নীতি বিরোধী ও শুদ্ধি অভিযানে সঠিক সিদ্ধান্তই এসেছে। গত ৫ই ডিসেন্বর ২০১৯ নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি পদে দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক পদে মমতাজুল হক নেতা কর্মীদের ব্যপক সমর্থন ও গোয়েন্দা তথ্যের প্রতিবেদন তাদের পক্ষে থাকায় পূননির্বাচিত হন পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আরো কয়েকটি পদের নাম ঘোষনা করেন তাদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে কেন্দ্র হতে দূর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগের দায়ে অযোগ্য ঘোষিত প্রার্থী মোকছেদুল মোমিনকে যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পদে নাম ঘোষনা করায় প্রশ্নবিদ্ধ হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূর্নীতি বিরোধী ও শুদ্ধি অভিযান। সৈয়দপুর উপজেলা কমিটিতে যে প্রার্থী কেন্দ্র হতে দূর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে বাদ পড়েন সেই প্রার্থী কোন অজানা কারণে বা কার ইশারায় জেলা কমিটিতে যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পদে স্থান পায় সেটি বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দেওয়ায় সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগে বর্তমানে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। কমিটিতে নাম অর্ন্তভূক্ত হওয়ার পরই মোকছেদুল মোমিন তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসে মিটিং করে বক্তব্যের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত সৈয়ধপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ন বক্তব্য ও পাশাপাশি হুকমী ধামকী দেন। বর্তমানে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগে এটি নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।