বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় শিক্ষায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে আলোর আলোর কণা"

মানিক লাল দত্ত, সাদিয়া বয়স সবেমাত্র ৪ এর কাছাকাছি,বাবা সাইফুল ইসলাম ৩শত টাকায় রড মিস্ত্রী হিসেবে দিন মজুরী করে। পরিবারের লোক সংখ্যা অনুযায়ী যা পারিশ্রমিক আসে কায়িক শ্রম দিয়ে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবেই অপ্রতুল।সন্তানকে স্কুলে দিতে না পারলেও সামাজিক সংস্থা আলোর কণা এ বর্ণহীন শিশুকে খুজে বের করে তাদের ফ্রি পাঠদান কেন্দ্রে ভর্তি করে নিয়েছে,শিক্ষা উপকরনও সে ফ্রিতে পেয়েছে,এমনকি সকালে সেই পাঠদান কেন্দ্রে পুষ্টিজনক খিচুরী পান। সুধু সাদিয়ায় নন, প্রথম শ্রেনীর অভি, সাব্বির,ফিরোজ,তুশী,জান্নাতী,এরা সকলেই ফ্রি পাঠদানের সহিত অনেক কিছু পান,এছাড়াও ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় ২শত জন এ সুবিধা পান। নীলফামারীর জলঢাকা সদর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দুরে পৌরসভাধীন এক অজোঁপাড়া গাঁ দুন্দিবাড়ি নামক স্থানে এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেন ছফির উদ্দীনের সন্তান জলঢাকা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ফুরাদ হোসেন।তার এ কাজে সহযোগীতা করেন ১৯ জন স্বেচ্ছাসেবী। পাঠদান কেন্দ্রটিতে রয়েছে মানবতার দেয়াল,সাপ্তাহিক কুইজ প্রতিযোগীতা,সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগীতা,কবিতা আবৃতি, উপস্থিত বক্তৃতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা,ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সহ নানান কিছু। গতকাল শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শিক্ষক ফুরাদ হোসেন জানান, আমি নিজ উদ্যেগে এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে গড়ে তুলেছি নিরক্ষরতার অন্ধকারে যারা ডুবে আছে তাদেরকে খুজে খুজে বের করে শিক্ষার আলো দিতে।জানিনা এখন পর্যন্ত কতোটুকু পেয়েছি।উপজেলা প্রশাসন আমার এ কাজে সহযোগীতার হাত প্রশারিত করার আশ্বাস প্রদান করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্ঠা, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ কাউন্সিল অব ভোক্তা অধিকার রংপুর বিভাগীয় কমিটির সদস্য মানিক লাল দত্ত,বলেন ফুরাদ একজন শিক্ষার্থী হয়ে সমাজ কল্যানে যা ভুমিকা রেখেছে তা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।আশাকরি এমন একদিন আশবে সেদিন সারাদেশ ব্যাপী সুনাম কুড়াবে ভুরি,ভুরি।