বিজ্ঞাপন দিন

শীতবস্ত্র নিয়ে শীতার্ত মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ডাঃ আনোয়ার হোসেন

আবেদ আলী স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর জলঢাকায় কয়েকদিনের হালকা শৈত্য প্রবাহে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ফলে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় ঘরে বসে থাকেননি সমাজসেবক ডাঃ আনোয়ার হোসেন। তিনি শীতবস্ত্র হিসেবে বেশকিছু কম্বল এবং চাদর সংগ্রহ করে নিয়ে ছুটে যান ওইসব অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে। সপ্তাহ ধরে উপজেলার বিভিন্ন পাড়ায় মহল্লায় চুপেসারে বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবারও পৌরসভার বাসষ্ট্যান্ড মাস্টার পাড়া ফিউচার ড্রীম একাডেমি স্কুলে প্রায় শতাধিক হতদরিদ্র পরিবারের শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন আনোয়ার। তিনি সমাজের অসহায় মানুষের পাশে থাকতে ভালবাসেন। তাই প্রতিবছর ভিক্ষুকদের একত্রিত করে একবেলা খাওয়ান। শুধু শীতবস্ত্রয় নয়, নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবাসহ সুন্নতে খাতনা করান। বৃত্তশালী নন, কিন্তুু মনের দিক থেকে কমতি নেই তার মানব প্রেম। এনজিও সংস্থা ও বন্ধুবান্ধব সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের সহযোগিতায় অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান। এছাড়াও মায়ানমারের হতে পালিয়ে আসা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য জলঢাকার বিভিন্নজনের কাছ থেকে কাপড়, ঔষধ, শুকনো খাবার ও নগদ কিছু অর্থ নিয়ে তাদের পাশে দাড়াতে ছুটে যান এবং সেখানে প্রায় টানা ১ বছর ধরে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। আবার নিজ এলাকায় এসে অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও টিউবওয়েল বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পিতৃমাতৃহীণ শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে জলঢাকা পৌর শহর হতে প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরে নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন এক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার নাম রাখা হয়েছে মধ্য কাজির হাট বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা। সেখানে অধ্যায়নরত ১৪৫ জন শিক্ষার্থী। আর এদের সবকিছুই বহন করেন ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডাক্তার আনোয়ার হোসেন। এরই মধ্যে তার প্রতিষ্ঠানটির সুনামের বাতাস ছড়িয়ে গেছে সর্বমহলে। পরিবারের সকলের সহযোগিতায় গড়া ওই আশ্রমের অনাথ শিশুদের লেখাপড়া, থাকা, খাওয়াসহ সবকিছু দেখাশোনা করেন তিনি এবং তার সহধর্মিণী সুমাইয়া আক্তার। এবারের ইবতেদায়ী সমাপনি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭জন ক্ষুদে শিক্ষার্থী অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কৃর্তিত্বের সহিত উত্তীর্ন হয়েছে। স্বল্প সময়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এ শিক্ষাঙ্গনটি গত বছরের তুলনায় এ বছর সফলতার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির শুনাম অক্ষুন্য রেখেছে আশ্রিত শিক্ষার্থীরা। আনোয়ার হোসেন জানায়, সবেই হচ্ছে আল্লাহর ইচ্ছা তিনি না চাইলে কোন টায় সম্ভব হতোনা। তবে বর্তমানে বাচ্চা বেশী হওয়ায় খরচ জোগাতে একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি এই গ্রামে একটি আধুনিক মাদ্রাসা স্থাপনের স্বপ্ন রয়েছে তার। শিশুদের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সত্যিই শিশুদের এ কৃর্তিত্ব আমার আনন্দের বিষয়। হেফজ ও জেনারেল শাখায় পরিক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে কৃর্তিত্ব অর্জন করেছে তাতে আমি অত্যান্ত মুগ্ধ। তবুও অনেকের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটিকে আজ এই পর্যন্ত নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। আল্লাহর রহমতে দাতারা পাশে থাকলে ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করবো এই প্রত্যাশা করছি।