বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল অন্ধকারে রেখে পালিত হল মুজিববর্ষ উদযাপন

ফরহাদ ইসলাম জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল অন্ধকারে রেখেই জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠান উদযাপন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে স্বাধীনতা স্বপক্ষের সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের মাঝে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও জন্মশতবর্ষ ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে কোন প্রকার পরিস্কার পরিছন্নতা ও আলোকসজ্জা না করো জিরো পয়েন্ট মোড়ে উপজেলা সড়কে দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্দ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানের ৭ই জানুয়ারি প্রস্ততি সভায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল পরিস্কার পরিছন্নতাসহ আলোকসজ্জার বিষয়টি আলোচনা এলেও পরবর্তীতে দুইদিনের অনুষ্ঠান চলাকালে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে আলোকসজ্জা করেননি ইউএনও সুজাউদ্দৌলা। এ নিয়ে ইউএনও কে ঘিরে দিনভর সমালোচনায় মুখর হয় পুরো শহর। এ বিষয়ে উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল গফ্ফার বলেন,‘‘ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন আলোকিত ব্যক্তি,তবে তার ম্যুরালটি আলোকিত করা উচিৎ ছিল। জেলা জাসদ সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম বলেন,‘‘ যাকে ঘিরে অনুষ্ঠান সেই মানুষটির ম্যুরাল অন্ধকারে রেখে বর্ণিল আয়োজন প্রশ্নবিদ্ধ করে।’’ উপজেলা আ.লীগ সভাপতি আনছার আলী মিন্টু বলেন,‘‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল আলোকিত না করা ইউএনও’র ব্যর্থতা, অবশ্যই ম্যুরালটি আলোকসজ্জা করার প্রয়োজন ছিল।’’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা বলেন,‘‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরালটি আলোকসজ্জা করার জন্য পৌর মেয়রকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।’’ তবে ইউএনও’র চিঠির বিষয়ে পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরীকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার (মেয়র) সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।