বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে ১৭ একর জমি ভুমির্দশ্যুদের কবল থেকে উদ্ধারের দাবী

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ- প্রায় ১৭ একর জমি নিয়ে দাঙ্গাহাঙ্গামা ও রক্তক্ষয়ি ঘটনা থেকে রেহাই পেতে, ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়েছে একটি অসহায় পরিবারের সদস্যগনসহ এলাকাবাসী। অর্ধশত বছর ধরে এসব জমির মূল ওয়ারিশগনকে বিভিন্ন ভয়ভীতি এবং হত্যার মামলায় জড়ানোর হুমকি-ধামকি দিয়ে চাষাবাদের প্রায় ১৭ একর জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এসব জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মামলা মোকাদ্দমাও চলছে বিজ্ঞ আদালতে। এঘটনাটি নীলফামারী সদর উপজেলার ১০নং কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের ০৩নং ওয়ার্ড আঙ্গারপাড়া গ্রামে। ঐ এলাকার মৃত. পিয়ার মামুদ সরকার এর ছেলে মৃত. নেছার উল্লা সরকারের ওয়ারিশগন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে জমি উদ্ধারের ন্যায় বিচারের জন্য দাবী জানায়। গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে ন্যায় বিচার পেলেও, স্থানীয় সালিশ মানছে না, মৃত নগরমামুদের ওয়ারিশবর্গ ভুমির্দশ্যু মৃত. রেয়াজ উদ্দিন সরকারের ছেলে, আজগার আলী (৭০) ও তার ছেলেরা। আজগার আলীর ছেলে জামিয়ার রহমান(৫৬), জসিদুল ইসলাম(৫০), জবাইদুল হক জবাই(৪৮) ও জাকির হোসেন(৪০)সহ অন্যান্য শরিকের সদস্যরা প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রাম্য সালিশের গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা ন্যায় বিচার করতে সঙ্কত বোধ করায়, অভিযোগকারীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হলে অবশেষে বিজ্ঞ আদালতে বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন । মামলা নং-১২৪/১৯। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মৃত. নেছার উল্লা সরকারের ওয়ারিশ মৃত. আজিরন নেছা নামে একটি কন্যা সন্তান থাকায়, একই ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ড ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত, উমর আলী ফকিরের ছেলে সুরত আলী শাহ ফকিরের সাথে আজিরন নেছার বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তারা আব্দুল আজিজ নামে পুত্র এবং আমেনা খাতুন ও সুফিয়া খাতুন নামে দুইটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। আব্দুল আজিজ উঠতিযুবক বয়সে মারা যায় এবং সুফিয়া খাতুনের বিবাহীত জীবনে নিঃসন্তান থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। আঙ্গারপাড়া গ্রামে নিকটতম মামাতো ভাই বদিউজ্জামানের সাথে আমেনা খাতুনের বিবাহ হলে, তাদের কোলজুড়ে নজরুল ইসলাম ও আমিনুর রহমান নামে দুটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তিন সন্তান ও স্ত্রী পাতলী বেওয়াকে রেখে আমিনুর রহমান মৃত্যুবরন করেন। আমিনুর রহমান মারা যাওয়ায় তার ওয়ারিশবর্গ ও নজরুল ইসলাম, নেছার উল্লা সরকারের সম্পত্তির ওয়ারিশসূত্রে দাবীদার। নজরুল ইসলাম ও আমিনুর রহমান মূর্খতা থাকায় এবং সহজ সরল ভেবে তাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নেয় ভুমির্দশ্যুরা। নজরুল ইসলামের সন্তানরা শিক্ষিত,সম্পত্তির বিষয়ে তারা বিভিন্নভাবে জানতে পারায় ২০১৭ সালে মৌজা আঙ্গারপাড়া, জেএল নং-৬৭ সিএস খতিয়ান-৪৭/এসএ খতিয়ান-৫৪, সিএস-১৬০,এসএ-২০২, সিএস-২৬৯,এসএ-৩২৩, সিএস-১৫৭, সিএস-১৭৪ ও সিএস-২৭৮ সহ আরো অন্যান্য খতিয়ান উত্তোলন করে। সেই সূত্র ধরে প্রায় ৩০/৩৫ বিঘা জমি তাদের দখলে নেয়। এরই পরিপেক্ষিতে জামিয়ার রহমান নীলফামারী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ঐ অভিযোগ সূত্রে ১৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সন্ধায় থানা চত্বরে উভয়পক্ষের কাগজপত্রাদী দেখতে চাইলে অভিযোগকারী কোন প্রকার ওয়ারিশন সনদ ও জমির কাগজপত্র দেখাতে পাড়েনি। এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম জানান, ভাষা আন্দোলন দিবস(২১ ফেব্রুয়ারী) পরে বসার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।