বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে পানির চাপ প্রয়োগ করে ভেকু মেশিন তৈরী করলেন প্রতিবন্ধী মিম

রতন কুমার রায়,ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধি: ইনজেকশনের সিরিজি দিয়ে পানির চাপপ্রয়োগ করে ভেকু মেশিন,ড্রোন,কাগজের ফুলসহ অনেক যন্ত্রের অবিকল যন্ত্র তৈরী করে বিষ্ময় সৃষ্টি করেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের হাজীপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক এরশাদুল ইসলামের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মেহেদী হাসান মিম। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়,উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক এরশাদুল ইসলামের দ্বিতীয় পুত্র মেহেদী হাসান মিম জন্মলগ্ন থেকেই বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধীতা তাকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেনি। প্রতিবন্ধী মিমের লেখাপড়ায় প্রবল আগ্রহ থাকায় দারিদ্রতার মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে যেতেন তার পিতা এরশাদুল।এসএসসি পরিক্ষায় সফলতার সহিত পাশ করে বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি হন মিম। গত দুইবছর পূর্বে থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দেখে হুবাহু যন্ত্রপাতি তৈরী করা,কাগজ দিয়ে মনোমুগ্ধকর ফুল,ড্রোন তৈরী করে বিক্রী করিয়ে অর্থ উপার্জন করে লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করতে পিতাকে সাহায্য করেন। সদ্য ইনজেকশনের ৮টি সিরিজ দিয়ে পানির চাপ প্রয়োগ করে ভেকু(স্কোভিটার মেশিন) মেশিন তৈরী করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। প্রতিবন্ধী মিম তার নিজের তৈরী ভেকু মেশিন সর্ব সাধারনের দেখানোর জন্যে ভ্রাম্যমানে প্রদর্শন করিয়ে বেড়াচ্ছে। মেহেদী হাসান মিমের পিতা এরশাদুর ইসলাম জানান, ছেলের নতুনত্ব আবিস্কারে আমি মুগ্ধ।সরকারের দেওয়া প্রতিবন্ধী ভাতা,তার আবিস্কৃত জিনিসপত্র বিক্রি করে কোন মতে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছি। ছেলের প্রতিভাকে কাজে লাগাতে সমাজের বিত্ত্ববানসহ সরকারের সহযোগীতা কামনা করছি। যাহাতে ছেলের মেধাকে কাজে লাগিয়ে তার লেখাপড়াসহ কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা হয়।