বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় ঐতিহ্যবাহি গরুরহাল দিয়ে সেচ মৌসুমে চাষ আবাদে ব্যাস্ত কৃষক-নানান জাতের ধান বীজের চারা বিক্রয়

এরশাদ আলম,জলঢাকা(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ বর্তমান সেচ মৌসুমে ধান বীজ রোপনে কৃষক-কৃষাণীরা ব্যাস্ত সময় পাড় করছে।এরই ধারা বাহিকতায় নীলফামারীর জলঢাকায় ঐতিহ্যবাহি গরুরহাল দিয়ে সেচ মৌসুমে ধান বীজ রোপনে ব্যাস্ত হয়ে পাড়েছে কৃষক-কৃষাণীরা।বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখাযায় উপজেলার প্রেসক্লাব এর পার্শ্ব বর্তী মাঠে নানান জাতের সেচ মৌসুমে ধানের বীজ বিক্রয় করছেন ব্যাসায়ীরা।এব্যাপারে ধানের বীজ ব্যাসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন এখানে আমরা বিভিন্ন জাতের ধানের বীজ বিক্রি করা আসছি।যেমন,হাইব্রিড জনরাজ,বারো পাঁচ হাইব্রিড,এসি আই ২,আটাশ,চোদ্দোসহ ইত্যাদি ধানের বীজ বিক্রি করা হয়।বীজ ব্যাবসায়ী সাদেকুল ইসলাম সে বলেন, একটি ধানের বীজের মুটার মূল্য ১২ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।তবে মুটা প্রতি সিমিত লাভ করা হয়। এই ধানের বীজ প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৮ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত এখানে বিক্রয় করা হয়।ব্যাবসায়ী আহিনুর রহমান বলেন,জলঢাকা পৌর সভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকেরা এসে এখান থেকে ধানের বীজ নিয়ে যায়।শুধু তাই নয় ডিমলা উপজেলা,ডোমার উপজেলা, কিশোরগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কৃষকেরা ধানের বীজ নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।ওবাইদুর রহমান বীজ ব্যাবসায়ী বলেন, নীলফামারী জেলার মধ্যে ডোমার উপজেলায় এই ধান বীজের চাহিদাটা বেশি।এ বীজ নেয়ার জন্য কৃষকেরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসে অটোরিকসা, অটোভ্যান ও বিভিন্ন যান বাহনে করে ধানের বীজ এখান থেকে নিয়ে যায়।বছরের মধ্য এ সেচ মৌসুমে আবাদে উপর নির্ভরশীল কৃষক- কৃষাণীরা বলে জানিয়েছেন অনেকে। কেননা সেচ মৌসুমে ফসল ভালো হয়। তাই কৃষকেরা এই সেচের উপর নির্ভর করে থাকেন। আজ শুক্রবার হঠাৎ চোখে পড়লো ঐতিহ্যবাহি গরুরহাল আর এই হাল দিয়ে সেচ মৌসুমে আবাদে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ডের বগুলাগাড়ী বাবুল্লা পাড়া এলাকার দুখীয়া চন্দ্র রায় বলেন,আমি ১ বিঘা জমি চাষ আবাদ করে আসছি।আরও বলেন আমি ১ লক্ষ টাকাদিয়ে এ বিঘা জমি বর্গা নিয়েছি।তবে সেচ মৌসুমি আবাদ করে যা ফলন হয় তানিয়ে আমিসহ ৪ মেয়ে ১ ছেলে ও স্ত্রী এ আবদের উপন নির্ভর করে চলি।১ বছরের মধ্যে এ সেচ মৌসুমি আবাদ খুবেশি হয়। আমি নিজেই আমার জমিতে বীজ রোপনে কাজ করি পাশা পাশি কয়েকজন লোক নিয়ে বীজ রোপনিয়ে ব্যাস্ত আছি।