বিজ্ঞাপন দিন

"জলঢাকায় বোন জামাইকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলো বড় শ্যালক! অতঃপর গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে"

রবিউল ইসলাম রাজ,জলঢাকা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় জমি সংক্রান্ত জেরে আপন বোন ও বোন জামাইকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে মৌজা শৌলমারী গ্রামের আফছার আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৫০)। আহতরা হলেন,তালুক শৌলমারী বাসোয়া পাড়ার সাফিয়ার রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান (৪০) ও স্ত্রী সালমা বেগম (৩৮)। বর্তমানে তারা জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এ ঘটনায় ঘাতক আবুল কাশেমকে থানা পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাদীর ক্রয়কৃত জমিতে। গতকাল সোমবার অভিযোগকারীরা জানায়, ওই এলাকার আব্দুর রহমান তার ক্রয়কৃত জমিতে বসতবাড়ি নির্মান করতে গেলে বিবাদীরা অনধিকার প্রবেশ করে বাধা নিষেধের একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এমনবস্থায় আবুল কাশেম চড়াও হয়ে তার হাতে থাকা দেশী অস্ত্র কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জলঢাকা হাসপাতালে ভর্তি করায়। সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শী প্রয়াত মজিবর রহমানের ছেলে মহুবর রহমান (৬০),ঘাতকের বোন ফেরোজা বেগম (৩৫) ও আব্দুল হান্নান বলেন,ঘাতক বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রীর অবস্থা বেগতিক হয়। আহত আব্দুর রহমান জানান,এভাবে হামলা করবে কখনো কল্পনাও করি নি। তবে থানা পুলিশ তাকে খুজে বের করে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। আমার স্ত্রী হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি এ ঘটনার ন্যায় বিচার চাই। অপরপক্ষে,ঘাতকের স্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে আব্দুর রহমান বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। যাহার মামলা নং-০৯।