বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকা বুড়ী তিস্তার নদীর চর এখন সবুজে সমারোহ

মানিক লাল দত্ত, জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ জলঢাকা উপজেলা ডাউয়াবারি ইউনিয়ন নেকবক্ত বুড়ি তিস্তা নদীতে ভরা মৌসুমে পানি আর পানি।ভরা নদীর পানির স্রোতে কি অপরূপ ঢেউ এর দৃশ্য দেখে যেন মন ভরে যায়। কিন্তু এ ডেউ আর বেশি দিন থাকেনা। তারপর পড়ে অবিরত চর। শীত থেকে গরমের মাঝামাঝি কয়েক মাস পানি কম থাকে নদীতে। এ সময় বুড়ী তিস্তা নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় জেগে ওঠে বিশাল চর। এ দৃশ্য দেখা গেছে গতকাল বুধবার। আর সেই চরে ফলানো হয় সবুজ ফসল। সকাল-দুপুরের রোদের প্রকোপ শেষে বিকালের হাল্কা ঠান্ডা বাতাসে ফসলি জমির সবুজ সমারোহ ও মায়া ছড়ানো চরের সৌন্দর্য হাতছানি দিয়ে ডাকে। নদীর বুকে ফসলের চাষাবাদ এবং নয়নাভিরাম সবুজের সমারোহ দেখে মনেই হয়না যেন এটা কোন চর এলাকা। জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে চরে জন্মানো আগাছা কেটে সেখানে রোপণ করা হয়েছে আবাদি ফসল। সেখানে রীতিমতো চাষ করে ধান, ভুট্টা সহ নানা ধরনের শাকসবজি।এর ফলে বেড়েছে কর্মসংস্থান, বেড়েছে অর্থনৈতিক। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সেখানকার কৃষক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে আগে মানুষের জমি ছিল, কিন্তু তারা চাষ করতে জানতো না, এখন দিন দিন জমির পরিমাণ কম হওয়াতে,আমরা প্রথমে বেছে নিযয়েছিলাম বুড়ি তিস্তা নদীর চর। সেখানে গত বছর ভুট্টার আবাদ করেছিলাম ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছিল। তাই এবছর প্রায় ১২ বিগার মতো জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি পাশাপাশি কিছু ধান ও রোপন করেছি। আমার দেখা দেখি এখন কম বেশি সবাই বুড়ি তিস্তা নদীর চরে ফসলের আবাদ করে। যেমন সেখানকার আরেক কৃষক রশিদুল, ইছাম উদ্দীন,নাজিম,সুমন সহ আরো অনেকে ধান সহ ভুট্টার আবাদ করেছে তারা মনে করেন এ বছর ও ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে