বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৩৭ জন ॥ খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে ৫শ পরিবার

ফরহাদ ইসলাম জলঢাকা( নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর জলঢাকায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সোমবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত ৩৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তবে তারা সবাই শঙ্কামুক্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের মধ্যে সম্প্রতি ভারত,মালোশিয়া,মরিশাষসহ বিভিন্ন দেশ ফেরত বলে জানা গেছে। সোমবার (৩০মার্চ) দুপুরে জলঢাকায় করোনা’র সর্বশেষ পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন,‘‘ বিদেশ ফেরত ওই ৩৭ জনকেই আমরা ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছি,এবং তারা নিয়ম মেনে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তারা সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। তিনি আরও জানান,নিয়ম অনুযায়ি বিদেশ ফেরত সকলকেই নিয়মমেনে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’’ এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারা দেশের ন্যায় জলঢাকায় সামাজিক দূরত্বতা বজায় রাখতে খাবার,ঔষুধ ও কাঁচামাল দোকন ব্যতিত সকল দোকানপাটসহ সকল যানবাহন বন্ধ থাকায় হোটেল শ্রমিক ও খেটে খাওয়া দিনমজুর পরিবারগুলোর খাদ্যসামগ্রী সংকট হতে পারে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ময়নুল হক বলেন,‘‘আমরা ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ৫ মেঃটন চাল ও নগদ এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। জলঢাকা উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মোট ৫শ হতদরিদ্র ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে পরিবারপ্রতি ১০ কেজি চাল,আধা কেজি ডাল,আধা কেজি তেল,লবণ ১ কেজি ও ৪ কেজি আলু অতিদ্রুত বিতরণ করা হবে। জলঢাকা পৌরসভায় হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী’র সঙ্গে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। কারোনা’য় জলঢাকা পৌরসভায় দরিদ্র পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা এস.এ হায়াত বলেন,‘‘ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে জলঢাকা পৌরসভায় ২ মেঃটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।’’