বিজ্ঞাপন দিন

তারাগঞ্জে প্রচারণা ও সর্তকতামূলক ব্যবস্থা মানছে না কেউ

সিরাজুল ইসলাম বিজয়, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে মানুষকে রক্ষায় সারা দেশের ন্যায় রংপুরের তারাগঞ্জে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা সর্তকতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হলেও সাধারণ মানুষ তা মানছেন না। সচেতনতার অভাবে ছড়িয়ে পড়েছে গুজব। এ কারণে মানুষের মধ্যে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। ফলে করোনা ভাইরাসের মারাত্বক ঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয়রা। দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে সব মানুষকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হলেও জনসমাগম থামানো যাচ্ছে না। প্রতিদিন হাটবাজারে দেদার ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হোটেল, রেস্তোঁরা,চায়ের দোকানগুলোতে অধিকসংখ্যক লোকজনকে আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে করোনা ভাইরাস আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়ায় করোনা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশের উদ্যোগে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, হাসপাতালে আইসোলেশন রুম তৈরি, গুজব সম্পর্কে জনসাধারণকে বিরত থাকতে সর্তকতা, ঘর থেকে বাহিরে বের না হওয়া, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক বিতরণসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সার্বক্ষণিক ফলোআপসহ নানান সর্তকতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও সাধারণ মানুষের মাঝে তেমন কোনো সচেতনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বরং সচেতনতার অভাবে ছড়িয়ে পড়ছে গুজব। সম্প্রতি উপজেলার তারাগঞ্জ বাজারের অগ্রণী ব্যাংকের মোড়ে চায়ের দোকানে ৭-৮ জন অজ্ঞাত লোক এক সঙ্গে বসে চা পান ও আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় দেশে যে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে তা জানতে চাইলে তার কোনো উত্তর না দিয়ে যে যার মতো চলে যান। রহিমাপুর গ্রামের ভ্যান চালক নুর ইসলাম বলেন, গ্রামোত না কি নতুন করে একটা ভাইরাস আসছে, সে কথা শুনছি। এটা একটা আল্লাহর গজব, আল্লাহই হামাক এ গজব থাইক্যা রক্ষা করবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত তারাগঞ্জে করোনা ভাইরাসের কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছি। তার পরও কেউ আক্রান্ত হলে সেজন্য আমাদের হাসপাতালে শয্যাসহ সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মানুষ তেমন একটা সচেতন হচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না। আমরা তাদের সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, করোনা প্রতিরোধে উপজেলার মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণসহ নানা সর্তকতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এত কিছু পদক্ষেপ নেয়ার পরও মানুষ যদি সর্তকতা অবলম্বন না করেন তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। এছাড়া যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।