বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় করোনা ভাইরাস আতঙ্ককে পুঁজি করে চালের দাম বৃদ্ধি!

ফরহাদ ইসলাম জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় করোনা ভাইরাস আতঙ্ককে পুঁজি করে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিপ্রতি চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ছয় থেকে আট টাকা পর্যন্ত। এ দিকে চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষদের কাছে নাগালের বাইরে চলে এসেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চাল ব্যবসায়ী জানান, করোনা ভাইরাস আতঙ্ককে পুঁজি করে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের চালের দামের চেয়ে তৃতীয় সপ্তাহে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এখন পর্যন্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। জলঢাকা পৌর শহরের এক চাল ব্যবসায়ী জানান,সপ্তাহ খানেক আগে মোটা হাইব্রীট চাল ছিল প্রতিকেজি ২৪ থেকে ২৫ টাকা। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা দরে। স্বর্ণা চাল ছিল প্রতিকেজি ২৮ থেকে ৩০ টাকা। কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ছয় টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। বিআর-২৮ চাল প্রতিকেজি ছিল ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। যা এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা দরে। এ দিকে চাল নিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করছেন এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। বিআর-২৮ ও হাইব্রীট চাল অটোরাইচ মিলে পালিশ করে তা মিনিকেট চালের বস্তায় ভরে কথিত মিনিকেট চাল হিসেবে বাজারে বিক্রি করছেন তারা। বর্তমানে কৃষকদের কাছে ধান নেই। তবে ধান মজুত রয়েছে অটো চালকল ও মিল মালিকদের গুদামে। এছাড়াও গত কয়েক দিনের ব্যবধানে পেয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম ফেরদৌস।