বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে বিত্তবানদের আহ্বান জানিয়ে কর্মহীনদের সহযোগীতায় এসএসসি ৯০ ব্যাচ

রতন কুমার রায়,ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধি: “মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য” এই কথাটি আবারো প্রমান করলো নীলফামারীর ডোমার উপজেলার এসএসসি ৯০ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের ন্যায় ডোমার উপজেলায় বন্ধ রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ছোট-বড় সকল দোকান-পাট বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে যানবাহন। শহরে দোকান-পাট বন্ধ থাকায় ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষজন বাড়ীর বাইরে না আসায় কর্মহীন হয়ে পরেছে রিক্সা ও ভ্যান চালকরাও। গত কয়েকদিন থেকে যানবাহন, দোকানপাট বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে আর্থিক সংকটে পরেছে এলাকার মানুষ। ফলে দৈনন্দিত সংসার খরচ করতে হিমসিম খাচ্ছে নিম্নবিত্ত, ও খেটে খাওয়া মানুষজন। হাজার হাজার কর্মহীন হওয়া মানুষজনের এই সংকট মুহুর্ত্তে তাদের মুখে খানিক হাসি ফোটাতে এগিয়ে এসেছে ডোমার উপজেলার এসএসসি ৯০ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। রবিবার সকালে ডোমার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অফিসের ছাদে এসএসসি-৯০ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অসহায়,খেটে খাওয়া মানুষদের মাঝে চাল,আটা,ডাল,আলু,সাবান ও মাস্ক বিতরণ করেন। খাদ্যসামগ্রী পাওয়া কয়েকজনের সাথে কথা হলে তাদের মধ্যে সুজন জানান, আমি হোটেলে কাজ করি। দোকান বন্ধ থাকায় চারদিন থেকে কর্মহীন হয়ে পরি। দুইদিন থেকে একবেলা ভাত আর একবেলা মুড়ি খেয়ে থাকতাম। চাল,আটা আর ডাল পাওয়ায় কিছুদিন খেয়ে থাকতে পারবো। জয় নামে এক শিশু জানান, আমার মা,বাবা দুইজনেই মারা গেছে। হোটেলে কাজ করে যা পাই ছোটবোনকে নিয়ে সেটাই খাই। তিনদিন থেকে দোকান বন্ধ থাকায় কোন টাকা আয় করতে না পারায় রুটি খেয়ে আমরা দিন পার করছি। চাল,আটা পাওয়ায় আমার ছোট বোন খুশি হবে। এসএসসি ৯০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উজ্জল,সুমন,মকবুল,উল্লাস,জাকারিয়া,জয়মুদ্দিন বলেন, আমরা ৯০ ব্যাচের বন্ধুরা মিলে চাঁদা দিয়ে তহবিল গঠন করে প্রাথমিকভাবে এলাকার দুইশত অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। এর পরে আরো বিতরণ করার চেষ্টা করছি বলেও তারা জানিয়েছেন। তারা বলেন এলাকার জনপ্রতিনিধি ও বিত্তশালীরা যদি এই সংকট মুহুর্ত্তে অসহায়দের পাশে দাড়ায় তাহলে কেউ না খেয়ে থাকবে না। তাই তারা এই সংকট কালীন সময়ে বিত্তবান ও জনপ্রতিনিধিদের অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।