বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ ও একঘরে করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রতন কুমার রায়,ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধি: পূর্ব শত্রুতার রেশ ধরে নীলফামারীর ডোমারে চার মুসলিম পরিবারের সদস্যদের মসজিদে নামাজ পড়তে বাধা ও মসজিদ কমিটি কতৃক ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে এক ঘরে করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় ডোমার প্রেসক্লাব হলরুমে উপজেলার সদর ইউনয়নের পশ্চিম চিকনমাটি নাওয়া পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মানিক ইসলাম বাবু ও তাদের পরিবারবর্গ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ মানিক ইসলাম বাবু বলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চিকনমাটি নাওয়া পাড়া বাইতুর রহমত জামে মসজিদটির বয়স প্রায় ১২০ বছর। এই মসজিদে এক সময় আমার দাদার বাবা মাওলানা নীল মামুদ মোতায়াল্লি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। আমার বাবা মৃত আব্দুল মজিদও উক্ত মসজিদের কোষাধক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল। গত তিন বছর পুর্বে মসজিদের নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে উক্ত কমিটির সম্পাদক মোঃ শাহিন ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ ইউসুফ আলীর সাথে আমাদের পারিবারিক বিরোধ থাকায় সেই প্রতিহিংসার জেরে মসজিদের জামাত থেকে আমাদের একঘরে করে রাখার পাশাপাশি মসজিদে আমাদের পরিবারের কাউকে নামাজ পড়তে দেয় না। এমনকি আমাদের পরিবারে মিলাদ এবং ধর্মীয় উৎসবে কোন মাওলানাকে বাসায় আসতে দেয় না। আমার বাবা ও দাদার মৃত্যুবার্ষিকীতে মসজিদের ইমামসহ কমিটিকে দাওয়াত করলেও তারা ইমামকে আমাদের বাসায় আসতে বাধা দেয় ফলে বাসায় মিলাদ পড়ানো সম্ভব হয়নি। তিনি কান্নজরিত কন্ঠে বলেন এই সময়ে আমাদের পরিবারে কেউ মারা গেলে তাকে কি দাফন করানো যাবে না। আমাদের একঘরে করায় তাদের ভয়ে এলাকার কেউ আমাদের সাথে কথা বলেন না । আমাদের পরিবারের ২৮ জন সদস্য এসব কারনে মানসিকভাবে বির্পযস্ত হয়ে পরেছে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার ভাই রাকিব ও চাচা মশিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন। এব্যাপারে মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, মসজিদ কমিটি ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সাথে একাধিকবার আপোষ-মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যার্থ হওয়ায় আমি কয়েকদিন আগে মসজিদের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। সাধারন সম্পাদক শাহিন ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাস্ত থাকায় পরে সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।