বিজ্ঞাপন দিন

তারাগঞ্জে পণ্যের দাম স্বাভাবিক ক্রেতা শূন্য বাজার

সিরাজুল ইসলাম বিজয়, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের কারণে বাজারে ভিড় নেই। সব জিনিস পত্রের দাম স্বাভাবিক। তবে এর মধ্যে লেবুর দাম বেড়েছে। আকার অনুযায়ী ৪০ থেকে ৬০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে লেবু। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা ও ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে রংপুরের তারাগঞ্জে চলাচলে নিয়ন্ত্রণ এনেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না লোকজন। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। একেবারেই ভিড় নেই, বাজার অনেকটা ক্রেতা শূন্য। গতকাল উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, লকডাউন ঘোষণার খবরে গত পাঁচ-ছয় দিন বাজারে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সে তুলনায় গত কাল বাজার ছিল ফাঁকা। নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ রয়েছে। বাজারে শাক-সবজিসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম আগের মত থাকলেও বেড়েছে লেবুর দাম। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লেবু খাওয়ার পরামর্শ থাকায় চাপ পড়েছে লেবুর উপর। আগে যে লেবু বিক্রি হতো ২০ টাকা হালি সেই লেবু এখন ৪০ টাকা। আর ৩০ টাকা হালির লেবু ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারাগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে লেবুর চাহিদা বেড়ে গেছে। আগে যিনি লেবু কিনতেন না বা এক হালি লেবু নিতেন, এখন তিনি এক ডজন করে লেবু কিনছেন। সবাই ডজন ডজন লেবু কেনায় এর দাম বেড়ে গেছে। আমরাও অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনে এনেছি। যে লেবু আমরা সর্বোচ্চ ৪০ টাকা বিক্রি করেছি, এখন সেই লেবু ৬০ টাকা হালি। তবে লেবু ছাড়া অন্য শাক-সবজির দাম একই রকম আছে। কোন কোন সবজি আগের চেয়ে কিছুটা কমেও বিক্রি হচ্ছে। হাজিরহাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন ক্রেতা অনেক কমে গেছে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে যা কেনার আগেই কিনে ফেলেছেন। এ কারণে বাজারে এখন ভিড় নেই। নিত্যপণ্যের দাম তেমন বাড়েনি, আগে যা ছিল এখনও তাই আছে। বুড়িরহাট বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, শশা ২০ টাকা কেজি, টমেটো ২০ টাকা, শিম ২০ টাকা, করল্লা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা পিস। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১২০০ টাকা ধরে কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মাছ স্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে।