বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় স্কুল ছাত্রী অপহরণ ! থানায় এজাহার

জলঢাক (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় ৮ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ এনে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন ছাত্রীর বাবা জামিয়ার রহমান। ওই ছাত্রীর বাড়ি উপজেলার পূর্ব বালাগ্রাম দক্ষিণ পাড়া ও জলঢাকা বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে জলঢাকা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। 

এজাহারে জানা যায়,বুধবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাহিরে বের হলে ওৎ পেতে থাকা প্রতিবেশী মহুবর রহমানের ছেলে দুলাল হোসেন (১৯),মনসুর আলী (৩৫),আব্দুল লতিফ (২৫) ও মন্টু মিয়ার ছেলে সাজু মিয়া সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন দেশের বাহিরে পাচারের উদ্দেশ্যে অটোচার্জার গাড়িতে তুলে মুখ চেপে জোরপূর্বক অপহরনের সময় ঘুম থেকে জেগে বাহিরে আসা প্রতিবেশী ফজলুর রহমানের ছেলে পানিয়াল ও রেয়াজুলের ছেলে জহুরুল ইসলাম ঘটনাটি দেখতে পেয়ে আসামীদের আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। 

পরে স্থানীয় লোকজনসহ আসামীদের বাড়িতে গেলে তাদের পরিবারের অন্য লোকজন অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে।শুক্রবার ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী জানায়,মেয়ে ছেলের আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ঘটনার দিন থেকে দু'জনে নিখোঁজ আছে। এ সময় ছাত্রীর মা বলেন,ঘুম থেকে জেগে দেখি মেয়েটি নাই। পরে জানতে পারি দুলাল সহ তার লোকজন আমার মেয়েকে অপহরন করে নিয়ে গেছে। 

এ ঘটনায় তিনি স্থানীয় প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন। অপরদিকে,আসামীর পরিবার জানায়,আমরাও দুলালকে খুজে পাচ্ছি না। সে কোথায় আছে? আমরা কিছু জানি না। এ ব্যাপারে তদন্তকারী অফিসার (এসআই) এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,অপহরণের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি ছেলে মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক আছে। খুজে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।