বিজ্ঞাপন দিন

দূর্ঘটনায় আহত হয়ে রাস্তায় পড়েছিল যুবক,গাড়ী না আসায় ফায়ার সার্ভিস অফিস ভাংচুর

ফরহাদ ইসলাম জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় একটি সড়ক দূর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফায়ার সার্ভিস অফিস ভাংচুর করে বিক্ষিপ্ত জনতা। এ ঘটনায় স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের মাঝে পাল্টাপািল্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা জানান,বৃহস্পতিবার সকালে পৌরশহরের পেট্রোলপাম্ব সংলগ্ন এলাকায় একটি অটোভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় উল্টে পরে। এ সময় ভ্যানে থাকা প্রাণ কোম্পানির এস.আর মাইদুল ইসলাম বাবু (২৬) নামে এক যুবক ভ্যানটির নিজে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস অফিসকে খবর দিলে তারা না আসায় আহত অবস্থায় রাস্তায় পরে থাকে ওই যুবক। কিছুক্ষণ পর আহত ব্যক্তি নিজেই পানি খাওয়ার আকুতি জানালে স্থানীয়রা তাকে পানি দিয়ে একটি ভ্যানযোগে ফায়ার সার্ভিস অফিসে নিয়ে আসেন। এসময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মরত ব্যক্তি আহত ব্যক্তিকে ফেরত দেন এবং যেখানকার মানুষ সেখানে নিয়ে যেতে বললে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং পুর্নরায় আহত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রায় আধা ঘন্টা পর ওই যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত ওই ব্যক্তি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী ইউনিয়নের বারোখারিয়া মহিষখোচা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। সে জলঢাকায় প্রাণ কোম্পানির জুস গ্রুপের এস.আর পদে কর্মরত ছিলেন। পরে জলঢাকা ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ী ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষিপ্ত জনতা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীর উপর হামলা চালিয়ে গাড়ী ভাংচুর করে। 

এ অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী উক্তস্থান ত্যাগ করে অফিসে আসলে বিক্ষিপ্ত জনতা সেখানেও(অফিসে) ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ফায়ার সার্ভিস অফিসের কয়েকটি জানালার গ্লাস ভেঙ্গে যায়। একাধিক ব্যক্তি জানান,ফায়ার সার্ভিস অফিস থেকে ঘটনাস্থল ২শ গজ এবং একাধিকবার ফোন করার পরেও কেন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী আসলোনা না এ কারণেই জনগন ক্ষুদ্ধ হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জলঢাকা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর ইনচার্জ মমতাজুল ইসলাম বলেন,‘‘আমরা আহত ব্যক্তিকে নিয়ে আসার জন্য গাড়ী নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষিপ্ত জনতা আমাদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’’ থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘‘ দূর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা না করায় এবং স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে ভ্যানে করে ফায়ার সার্ভিস অফিসে নিয়ে আসলেও ফেরত দেওয়ায় জনগণ বিক্ষিপ্ত হয়ে ফায়ার সার্ভিস অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’