বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে ট্রাক্টর চাপায় যুবককে হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ , গ্রেফতার এক

মনিরুজ্জামান লেবু নীলফামারী প্রতিনিধি ;নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটায় এক যুবককে ট্রাক্টর চাপায় হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ৩ ঘন্টা ধরে জলঢাকা-নীলফামারী সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে রাখে। নিহত আবু মুসা কচুকাটা ইউনিয়নের দোনদরী সর্দারপাড়া গ্রামের মোফাচ্ছেল ইসলামের ছেলে। সে নীলফামারী সরকারী কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কচুকাটা ইউনিয়ের বাবুপাড়া গ্রামের নবুদ মিয়ার ছেলে মার্সাল আলী নিহত মুসার নিকট ট্রাক্টরের বডি প্রতিদিন তিনশত টাকায় হিসাবে ভাড়া নেয়। সোমবার সন্ধায় তিনমাসের বকেয়া ভাড়া চেয়ে কচুকাটা বাজারে গাড়ী থামায় আবু মুসা। এসময় গাড়ী চালাচ্ছিলো মার্সালের ছেলে আশিক (১৯)। গাড়ী থামিয়ে বকেয়া টাকা চাওয়ায় মার্সাল বাজারে এসে আবু মুসাকে গালিগালাজ করে। কিচ্ছুক্ষণ পর মর্সাল তার ছেলেকে আদেশ দেয় ট্রাক্টরের সামনে যে থাকবে তাকে চাপা দিতে, বলা মাত্রই ছেলে আশিক মুসাকে ট্রাক্টর দিয়ে চাপা দেয়।এতে আবু মুসা গুরুতর অসুস্থ হলে স্থানীয়রা তাকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আবু মুসা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত কচুকাটা বাজারে ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে বিক্ষোভ করে নীলফামারী-জলঢাকা সড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে নীলফামারী' অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল ) রুহুল আমিন ও সদর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রুহুল আমিন জানান, 'আবু মুসা নিহতের ঘটনায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকালেই ঘাতক ট্রাক্টরটিকে আটক করা হয়। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন কে আটক করা হয়েছে।