বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ আহত-১৪ থানায় মামলা

আবেদ আলী স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর জলঢাকায় পানি অপসারণ নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজনকে গুরতর আহত হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

ঘটনাটি উপজেলার  কৈমারী ইউনিয়নের বিন্যাকুড়ি পূর্ব হিন্দুপাড়া এলাকায়।

এনিয়ে শ্রী নিবাস চন্দ্র বাদী হয়ে পদক প্রাপ্ত কেশব রায় সহ ২৮ জনকে আসামী করে জলঢাকা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৪,তারিখ ২৬.০৪.২০২০।

এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২৪ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় ধান মাড়াইয়ের জন্য বাড়ীর বাইরের উঠানে মাটি ভরাট করেন নিবাস চন্দ্র। এতে পানি অপসারণে বাধা হবে মর্মে শোরগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে কেন মাটি ভরাট করা হল এনিয়ে সংঘর্ষ বাধলে ঘটনাস্থলে ১৪জন আহত হয়।

সরেজমিন বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় গেলে শুনসান নিরবতার পরিবেশ বিরাজ করতে দেখা যায়। ঘন পাড়ার বসতি। একটি বাড়ীর বাইরে খানকা ঘরে বাশের খাটিয়ার উপর হাতে সাদা ব্যন্ডেস প্যাচানো বিমর্ষ হয়ে শুয়ে আছেন একজন। নাম নিবাস চন্দ্র পিতা মৃত ধীরেন্দ্র বর্মন।

এসময় নির্যাতনে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে সামনে আসেন রঞ্জিতা রানী, প্রফুল্ল রায়, মিতালী রানী ও সিন্ধু রানী।

তারা বলেন, ২০১৩ সালে বাল্যবিয়ে রোধের উপর জাতিসংঘ কর্তৃক দেওয়া ‘ইয়ুথ কারেজ এ্যাওয়াড ফর এডুকেশন’ সম্মান প্রাপ্ত কেশব রায়ের নেতৃত্বে আমাদের এলাকাটি এখন অশান্তির ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। সে ২০১৫ সালে পুলিশ নির্যাতনের তিন নম্বর আসামী ছিল। বাল্যবিয়ে রোধের স্লোগান মুখে নিয়ে গোপনে অর্থের বিনিময়ে নিজে উপস্থিত থেকে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করে চলেছেন। এমনকি এলাকায় জমি দখলসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী  তৈরী করেছেন। এই বাহিনীর অন্য শীর্ষ সদস্যরা হলেন বিন্যাকুড়ি পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র রায়, সহকারী শিক্ষক স্বদেশ রায় ও ব্যবসায়ী পনশ চন্দ্র। তারা এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লাগিয়ে দিয়ে অব্যাহত বিভেদ সৃষ্টি করছে। আমরা এই অমানবিক নির্যাতনের বিচার চাই। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকী হতে পরিত্রাণ চাই।

এদিকে অভিযুক্ত কেশব রায়,শিক্ষক পরিমল ও স্বদেশ রায় বলেন, অভিযোগগুলো সবই মিথ্যা। ওরা বুঝি আমাদেরকে এ গ্রামে আর বাস করতে দিবেনা। এলাকার একটি মহল আমাদেরকে হেয় করতে বারবার বিভিন্ন অপবাদ অব্যাহত রেখেছেন।

এবিষয়ে  কৈমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু বলেন, উভয়ের ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসার প্রক্রিয়া চলছে।

জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।