বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় তিস্তা সেচ খালের সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে উজার

ভ্রাম্যমান সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর জলঢাকায় করোনাকালে তিস্তা সেচ খালের সামাজিক বনায়নের গাছ প্রকাশ্য দিবালোকে কেটে সাবার করা হচ্ছে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের চেংমারী এলাকায় তিস্তা সেচ খালের পশ্চিম তীরে সামাজিক বনায়নের কিছু গাছ সকালে কাটা হয়েছে। এবং সেই গাছ কাটার নেতৃত্ব দেন কৈমারী ইউনিয়ন পরিষদ ১নংওয়ার্ড সদস্য তবিবর রহমান। 

কেটে ফেলা গাছগুলো বিকাল ৩টার সময় একই এলাকার লেবু মিয়ার স’মিলে কাটতে ট্রলিযোগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ট্রলি ড্রাইভার দুলাল হোসেন গাছগুলো নুর হোসেন ও কামরুজ্জামানের বলে মিল মালিক লেবু মিয়াকে জানান। পরে সেখানে ইউপি সদস্য তবিবর রহমান এসে গাছের গোলাইগুলো কাটতে বললে মিল মালিক লেবু মিয়া অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপরই শুরু হয় গাছ নিয়ে নাটকীয়তা।

মিল মালিক লেবু মিয়া সোমবার (৪এপ্রিল) বিকালে বলেন, গাছগুলোর মালিক নুর হোসেন ও কামরুজ্জামানের। কিন্তু সেখানে তবিবর মেম্বর কেন দাবিদার। কিন্তু, যাদের কথা বলে গাছগুলো রেখেছে, তাদের দু’জনের কেহউ মিলে আসেনি। তবে, প্রশাসন ও বনায়নের কর্মকর্তারা এসেছিলেন। তারা গাছগুলো কাটতে নিষেধ করেন এবং সেগুলো আমার নিকট গচ্ছিত রেখে যান।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য তবিবর রহমান বলেন, স্থানীয় একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। আমি এসবের সাথে সম্পৃক্ত নই।

উপজেলা ফরেস্টার একেএম রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। তদন্ত করছি। যারা গাছ কাটার সাথে জড়িত তাদের নামে মামলা করা হবে।

সহকারী কমিশনার(ভূমি) গোলাম ফেরদৌস বলেন, গাছগুলো ক্রোক করা হয়েছে এবং মিল মালিকের জিম্মায় রাখা আছে। যেহেতু গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোডের সেহেতু সিদ্ধান্ত তারাই নিবেন।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোড নীলফামারী ডিভিশন নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাস্থলে সেকশন অফিসারকে পাঠিয়েছি এবং থানায় মামলা দিতে বলেছি।