বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় কাতার চ্যারিটি ত্রাণের মাল ভাগ বাটোয়ারা করলেন যুবলীগ নেতা !

ফরহাদ ইসলাম জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় কাতার চ্যারিটি দাতা সংস্থার দুস্থ,এতিম ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের ত্রাণের মাল বিত্তবানদের মধ্য ভাগ বাটোয়ারা করলেন যুবলীগ নেতা। নাম মাত্র পছন্দের কিছু লোক মাঠে সমাগম ঘটিয়ে বাকি সিংহভাগ ত্রাণ সামগ্রী নিজেসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ভাগ করেছেন ওই নেতা। বর্তমান এই করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণে সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন তিনি। এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলাটিতে। বরাদ্দকৃত ৯’শ প্যাকেটের ত্রাণের মাল উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নে ৯’শ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করার কথা থাকলেও উপজেলা যুবলীগ যুগ্ন-আহবায়ক ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষক মোকছুদার রহমান লেলিন একক আদিপাধ্য বিস্তার করে নিজের আত্মীয়স্বজনসহ দলীয় পছন্দের লোকজনদের মাঝে এসব ত্রাণের মাল ভাগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়,গত মঙ্গলবার (১২ মে) কৈমারী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে দাতা সংস্থা কাতার চ্যারিটি’র অর্থায়নে ৯’শ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে ছিল,২০ কেজি চাল,৫ লিডার তেল,২ কেজি ডাল,২ কেজি বুট,২ কেজি খেজুর,২ কেজি চিনি,২ কেজি পেয়াজ ও ১ কেজি লবণ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার পিতা ও কৈমারী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সাইদার রহমান মাষ্টার,কাতার চ্যারিটি এতিমখানার কচুয়া সরদারপাড়ার পরিচালক হাফেজ হায়দার আলী,কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশ প্রধান কার্যলয়ের প্রতিনিধি আবু সায়েদ প্রমুখ। কৈমারীসহ কয়েকটি ইউনিয়নের হতদরিদ্র ত্রাণ বঞ্চিতদের সাথে কথা হলে তারা জানান,কৈমারী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইদার মাষ্টারের ছেলে লেলিন ত্রাণের মাল দেওয়া তো দুরের কথা আমাদেরকে কাছেই ভিরতে দেয়নি লেলিনের লোকজন। ত্রাণ কাজে নিয়োজিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি ত্রাণের মাল বিতরণের তালিকা সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেন। তালিকায় দেখা যায়,উপজেলার একটি বাইরের মাদ্রাসাসহ আ.লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকের নাম। যারা এই মালের সিংহভাগ তুলে নিয়েছেন। ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে কাতার চ্যারিটি এতিমখানার কচুয়া সরদারপাড়ার পরিচালক হাফেজ হায়দার আলী বলেন,‘‘বিতরণে আমি যতক্ষন ছিলাম তখন কোনও অনিয়ম পাইনি,তবে আমি চলে আসার পর কিছু অনিয়মের অভিযোগ শুনেছি।’’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক মোকছুদার রহমান লেলিন বলেন,‘‘ এগুলো বাজে কথা,ত্রাণের মাল কোনও ভাগ বাটোয়ারা হয়নি।’’ এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম ফেরদৌস বলেন,‘‘ কাতার চ্যারিটি’র ত্রাণ বিতরণে সরকারি নীতিমালা অনুসরন করা হয়নি।’’ সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান বলেন,‘‘ সরকারি নিয়ম অনুযায়ি ত্রাণ বিতরণের জন্য দুস্থদের তালিকা উপজেলা প্রসাশনকে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তালিকা জমা দেননি।’’ বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন,‘‘আমি কিছু জানি না,তবে শুনেছি।’’