বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে ভূমি দখলদারদের তান্ডবে অসহায় একটি পরিবার

আপেল বসুনীয়া :: নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার উত্তর গোমনাতী গ্রামের তইবুল ইসলামকে পত্রিক সম্পতি জোর পূর্বক দখল নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছে। আদালতে ও থানায় পৃথক মামলা দায়ের করার পরও প্রতিপক্ষরা একের পর এক হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় পানির বাধ কেটে দিয়ে মাঠের জমির উপর চড়াও হয়ে বসতভিটায় হামলা চালিয়ে তইবুল ইসলামের স্ত্রী শেফালী বেগমকে বেদম মরপিঠ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর গোমনাতী গ্রামের মৃত জসিমুদ্দীনের পুত্র তইবুল ইসলাম তিন কন্যা সন্তানের জনক। এমতাবস্থায় তইবুলের কোন পুত্র সন্তান না থাকায় তার বিষয় সম্পদের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে প্রতিপক্ষদের। তারা সঙ্গবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন কৌশলে তইবুলের জমিজমা ও বসতভিটা জবর দখলের জোর চেষ্টা চালাতে গিয়ে হামলা চালায়।
অবশেষে তইবুল নিরুপায় হয়ে নীলফামারী জেলা জজ আদালতে বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং অন্য ২১/১৯। আদালতে বাটোয়ারা মামলা দায়ের করার পর তইবুরের ভোগ দখলীয় জমি অন্যায় ভাবে জবর দখল করতে গিয়ে মারপিঠসহ খুন করার বিভিন্ন ভয়ভীতির হুমকি প্রদান করিতে থাকে। ঘটনার দিন একই গোষ্টির মিয়ার উদ্দিন,স্ত্রী হাজেরা বেগম, পুত্র জাহাঙ্গীর আলম,কিবরিয়া, রাব্বানী ও পুত্রবধু মর্জিনা বেগম লাঠিসোটা,রড,ছোড়া নিয়ে পূর্নরায় পানির বাধ কেটে দিয়ে মাঠের জমির উপর চড়াও হয়ে বসতভিটার উপর হামলা চালায়।
এসময় হামলাকারীরা বেড়া ভাংচুর করে তইবুলের স্ত্রী শেফালী বেগমসহ দুই মেয়ের উপর হামলা চালিয়ে বেদম মারপিঠ করে। এতে শেফালী গুরুত্ব আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। নিরুপায় হয়ে তইবুল বাদী হয়ে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ০৫।
আদালতে বাটোয়ারা মামলা ও থানায় নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হলে হামলাকারীরা আরো উত্তেজিত হয়ে উঠে।