বিজ্ঞাপন দিন

তারাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে দুইদিন ধরে অনশন

সিরাজুল ইসলাম বিজয়, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জে দুই সন্তান ও স্বামীর মায়া-মততাকে বির্সজন দিয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে দুইদিন ধরে এক যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন বিউটি বেগম নামের এক মহিলা। জানাগেছে, উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের খারুভাজ গ্রামের শাহজালাল মিয়া সঙ্গে প্রায় ২৫ বছর থেকে সংসার করে আসছেন বিউটি বেগম (৩৭)। সংসার জীবনে বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ৩ বছরের এক নাতনীর মুখো দর্শন করেছেন তারা। এছাড়া ১৬ বছরের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে ওই দম্পতির। এরই মাঝে বেশ কয়েক বছর ধরে বিউটি বেগমের পরকীয় সম্পর্ক গড়ে উঠে একই গ্রামের জছিমুদ্দিনের পুত্র পেয়ারুল ইসলাম (৩০) সঙ্গে। তাদের পরকীয় সর্ম্পকের বিষয়টি উভয় পরিবারের লোকজন সহ এলাকার লোকজন জানাজানি হলে বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সর্তক করার পরও চুপি-সরে চলতে থাকে। এরই মধ্যে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী ও সন্তানদের মায়া-মমতাকে বির্সজন দিয়ে বিউটি বেগম প্রেমিক পেয়ারুলের থাকার ঘরে গিয়ে ঢুকে পড়ে। ঘটনাটি প্রেমিক পেয়ারুল জানতে পেরে গাঁ ঢাকা দেয়। এতে করে ওই এলাকায় জল্পনা-কল্পনা শুরু হয় যে, যুবক পেয়ারুল কি দুই সন্তানের জননী প্রেমিকাকে মেনে নিবেন কি? অন্যদিকে স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে কিভাবেই বা ওই যুবকের সঙ্গে জীবনভর ভালবাসার ঘর বাঁধবে বিউটি বেগম। আজ রোববার দুপুরে অনশনরত বিউটি বেগমের সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্বামী ও সন্তান ছাড়াও লোক-লজ্জার মাথা খেয়ে পেয়ারুলের ভালবাসায় তার বাড়িতে চলে এসেছি। ও আমাকে বিয়ে করে সংসার করবে এমন আশ্বাস দিয়ে আসছে। সেই আশ্বাসের ভিত্তিতেই আমি চলে এসেছি। এখন সে গ্রহণ না করলে আমার মরণ ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। প্রেমিক পেয়ারুলের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে বিউটি বেগমের স্বামী শাহজালাল মিয়ার কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুই পরিবারের মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে কথা হচ্ছে।