বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

রবিউল ইসলাম রাজ জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়,পৌরসভার মাতৃকালীন ভাতা,বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা সহ অসহায় মানুষকে ঘর দেয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেন। শুধু তাই নয়,এলাকায় নিরহ মানুষের মাঝে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে দিয়ে মামলা মোকদ্দমা,জুয়া ও মাদক সহ শান্তি বিনষ্টের অভিযোগ করেছে ওই কাউন্সিলের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা। এছাড়াও গরীব অসহায় মহিলাদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন লোকজনের নামে মামলা করে আসছে কাউন্সিলর জিয়া। 

ওই এলাকার সাজেদা বেগম জানায়,“কাউন্সিলর আমাকে মাতৃকালীন ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে। কার্ড না হওয়ায় আমি টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিবেন কিন্তু নিজের পড়নের কাপড় ছিড়ে মতলুবর রহমানের নামে শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করতে বলেন।

" মতলুবর রহমান বলেন, "আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আমার প্রার্থী হওয়ার কথা শুনে জিয়া কাউন্সিলর ওই মহিলাকে দিয়ে ফাঁসাতে চেয়ে ছিলো।" ৪নংওয়ার্ডে খাসজমিতে বসবাসকারী সাবেদ আলীর স্ত্রী রুপালি বেগম,মমিনুর রহমানের স্ত্রী মালেকা বেগম,স্বাধীন,ফজলু,মোস্তাফিজার রহমান বাবু,খায়রুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেছেন,“আমাদেরকে ঘর দেয়ার কথা বলে জিয়া কাউন্সিলর খরচবাবদ ২ শত থেকে ৫ শত করে টাকা নিয়েছে।” লোকমান হোসেনের ছেলে জাহেদুল ইসলাম জানান,’করোনা ভাইরাসে লকডাউনের সময় ১০টাকার রেশম কার্ড দেয়ার কথা বলে কাউন্সিলর আমার কাছে তিনশত টাকা নিয়েছে। চালও নাই,কার্ডও নাই।’ 

একইভাবে অনেকেই এ প্রতিবেদকের কাছে নানান অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেছেন ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান জিয়ার সাথে কথা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,’আমার ওয়ার্ডে ৩২ শত ভোট। তার মধ্যে গত নির্বাচনে আমি ভোট পেয়েছি ১৩ শত ১০।বাকী ভোটারগুলো আমার বিপক্ষের। 

সাবেক কাউন্সিলর সহ মতলুবর রহমার সামনের নির্বাচনে আমাকে পরাজিত করতে নানান ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু আমার প্রতিপক্ষের পাড়ার মানুষের কথা শুনলেই হবে না। পুরো ওয়ার্ড খুজে বের করতে হবে আমি ভালো করেছি,না খারাপ করেছি। আমি যদি দুষি হয়ে থাকি,আমার কাউন্সিলরী চলে গেলেও আপত্তি নাই।'