বিজ্ঞাপন দিন

তারাগঞ্জে করোনার আতঙ্কে মাদককে ঘিরে মারপিঠে গুঞ্জণ

সিরাজুল ইসলাম বিজয়, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: দেশের এই সংকট মূহর্তে যেখানে করোনা নিয়ে মানুষের নানা চরম ভোগান্তির শিকার সেখানে করোনার আতঙ্কে মারপিঠ নেশার অভিযোগ উঠেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের পাশারিপাড়া গ্রামে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, উপজেলার হাড়িয়ারকুটি ইউনিয়নের পাশারিপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মশিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চরনল গ্রামে সুলতান খানের বাড়িতে এবং ওই এলাকায় কৃষি কাজ করতেন। মশিউর অভিযোগ করে বলেন, আমি করোনার কারনে দীর্ঘনি বাড়িতে আসতে পারি নাই। তাই পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য সিদ্ধান্ত নেই। পরে আমার কর্মস্থলের পরিচিত ইমন ও মনু আমার সাথে কুমিল্লা হতে রংপুরে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে। এরপর তিন জনে মিলে গত সোমবার (১৪ইজুন) আমার গ্রামের বাড়িতে দুরপাল্লার বাসে পাশরিপাড়ায় পৌছাই। তখন হতেই ওই ঘটনায় আমার প্রতিবেশি সহ এলাকার মানুষ স্বাস্থ্যবিধি ও করোনার বিষয়ে নানান কথা বলেন। এদিকে মশিউরের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৮ই জুন) সকালে ইমন মনু মশিউর সহ একটি ঘরে মাদক সেবন করছিল। ওই সময় তাদের কাছে মাদক পাওয়ায় এলাকার চাচা জ্যাঠা সহ আমার পরিবারের লোকজন এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তাদের মারপিঠ করেন। এতে করে আমার প্রতিবেশি সহ এলাকার লোকজন করোনার আতঙ্কে বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন ও সমালোচনার ঝড় তোলেন। ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সামাদ জানান, আমাদের এলাকায় দুইজন যুবক বাইরে হতে এসেছে। তাদের আচরণ ও চলাফেরায় সন্দেহ হয় এলাকাবাসির। পরে তাদের মাদক সেবনের ব্যপারে পাশারিপাড়া গ্রামের লোকজন মারপিঠ করে ওই সময় কোন মেম্বার চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন না। ওই ঘটনায় মারপিঠের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রত্যক্ষদর্শী ছেনার আলী বলেন, কদিন আগে মশিউরের বাড়িতে বেড়াতে আসে কুমিল্লার ইমন ও মনু। করোনার কারনে ও মাদকের সাথে জরিত বলে এলাকাবাসি আমার সামনে তাদের সকল জিনিসপত্র সহ তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া কোন ধরনের ঘটনা ঘটেনি ঠাকুরপাড়ায় আমার জানা মতে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার জানা মতে কাউকে কোন প্রকার হেনস্থা করেনি গ্রাম পুলিশ ও চেয়ারম্যান। দিন দিন জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ায় একটি কুচক্রি মহল হারুন অর রশিদ বাবুলের শুনাম নষ্ট করার জন্য পায়তারা করছে। সেকারনেই হয়তো এমনটা করছে কিছু স্বার্থ নেশী মহল। ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বাবুল বলেন, আমার এলাকায় মশিউর নামের এক দিন মজুর কুমিল্লা হতে ঠাকুরপাড়ায় তার বাড়িতে আসে কদিন আগে। ঘটনার দিন আমি রংপুর শহরে ব্যক্তিগত কাজে ছিলাম। পরে ওই এলাকার লোকজন আমাকে বিষয়টি অবগত করেন এবং খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা হওয়ায় পাশারিপাড়ার লোকজন তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় অনলাইন পত্রিকায় আমাকে জরিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা ভিত্তিহীন। আমি ওই বিষয়ে লইয়ারের সাথে পরামর্শ করেছি এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো প্রকাশিত সংবাদের ব্যপারে। তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জিন্নাত আলী জানান, ওই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সঠিক পর্যালোচনা করছেন। আমি অনলাইন পত্রিকার সূত্র ধরে ঘটনার প্রাথমিক তথ্য ও বিষয়বস্তু অবজারভেশন করার চেষ্টা করছি। তবে ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি, পেলে প্রয়োজনীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।