বিজ্ঞাপন দিন

তারাগঞ্জে ক্রয়কৃত জমিতে ঘর তুলতে বাধা দেওয়ায় মারধর থানায় অভিযোগ

সিরাজুল ইসলাম বিজয়, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নে পিতার দেওয়া ও ক্রয়কৃত জমিতে জোরপূর্বক ঘর তুলতে বাধা দেওয়ায় ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও মারধর করায় থানায় অভিযোগ।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের চিলাপাক বালাপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল উদ্দিনের মেয়ে মোহসিনা বেগম ক্রয়কৃত ৩ শতক জমিতে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তিন বোনের মধ্যে বড় মোহসিনা বেগম। ২৫ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী এলাকা শেখের হাটে তার বিয়ে হয়। স্বামীর সংসারে অভাব অনাটন থাকায় তার বাবা জয়নাল উদ্দিন নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতে স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করায় পিতা জয়নাল উদ্দিন মোহসিনাকে ৬ শতক জমি দেন ঘর তোলার জন্য।

মোহসিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত রবিবার সকাল ৯ টায় আমার বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ঘর তুলতে বাধা দিলে দেশিও ধারালো অস্ত্র ও বাঁশের লাঠি সোডা নিয়ে আমি ও আমার পরিবারের লোকজনকে মারধরসহ সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করেন বাবুল ও তার বাহিনী। আমি গুরুতর আহত হলে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চার দিন স্বাস্থ্যকপ্লেক্সে  ভর্তি থাকার পর হালকা সুস্থ্য হলে তারাগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

বাবুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, মৃত জয়নাল উদ্দিনের তিন সন্তান মোহসিনা, জরিফা ও মানিকা বেগম। আমার জানা মতে পৈত্রিক সূত্রে মোট জমির পরিমাণ ১৫ শতক। তার মধ্যে জয়নাল উদ্দিন বড় মেয়ে মোহসিনার কাছে তিন শতক জমি বিক্রি করেন। ১২ শতক জমি বড় মেয়ে মোহসিনা বেগম বাবার বাড়িতে স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করায় জয়নাল উদ্দিন মোহসিনাকে ৬ শতক, জরিফা ৩ শতক, মানিকাকে ৩ শতক জমি ভাগ করে দেন। কিন্তু ওই ঘটনায় মামাতো ভাই হিসেবে সহযোগীতার জন্য এগিয়ে আসলে আমাকে সহ ৩ জনের  নামে তারাগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন।

সাবেক ইউপি সদস্য সাহিদুল ইসলাম বলেন, জয়নাল উদ্দিন মারা যাওয়ার পর থেকে জমি নিয়ে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। একাধিক বার ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকায় শালিসও করেছি। কারও কথা কেউ শুনে না।

এসআই মশিউর রহমান বলেন, ঘরের আসবাবপত্র ও মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।