বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকা বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন নেকবক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়


জাহিনুর ইসলাম জীবন, জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে নেকবক্ত বাজারে অবস্থিত নেকবক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন বলে জানালেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে অভিভাবক প্রতিনিধিদের তথ্য মতে জানাগেছে, গত ৩০/৩/১৩ ইং তারিখে প্রধান শিক্ষকা এ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর ৩৩২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান চলে আসছে এ বিদ্যালয়ে। শুধু পাঠদানে নয় প্রথম শ্রেণী থেকে ৫ ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের স্কুল ফিটিং বিস্কুট ও উপবৃত্তির অর্থ সকলকে প্রদান করেন এ প্রতিষ্ঠান।এ প্রতিষ্ঠানে ২০১৩ সালে উপবৃত্তি পেয়েছেন ৬ জন,১৪ সালে উপবৃত্তি পেয়েছেন ৪ জন,১৫ সালে উপবৃত্তি পেয়েছেন ৫ জন, ১৬ সালে উপবৃত্তি পেয়েছেন ৪ জন,১৭ সালে উপবৃত্তি পেয়েছেন ৩ জন,২০১৮ সালে উপবৃত্তি পেয়েছেন ২ জন। অপরদিকে এ প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন খেলাধুলায়,বিজয় দিবসে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে আসছে। ২০১৬ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে অঙ্ক দৌড়ে বিজয় অর্জন করেন । ২০১৭ সালে জেলা পর্যায়ে হাই জাম্পে বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন।

অভিভাবক সাদেকুল ইসলাম বলেন এ প্রতিষ্ঠানে আমার ছেলে পড়ে সে ঠিক মতো স্কুল ফিটিং বিস্কুট ও উপবৃত্তির অর্থ পেতে কোন অসুবিধা হয়না। ঠিক মত প্রতিটি শিক্ষার্থীর বাড়িতে স্কুল ফিটিং বিস্কুট পৌছে দিয়েছেন। আর এক অভিভাবক নজরুল ইসলাম জানান এ প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষার্থী পড়ে তারপরেও উপবৃত্তির টাকা পেতে আমাদের কোন সমস্যা হয় না।অভিভাবক জয়নাল আবেদিন এ প্রতিবেদক কে বলেন কষ্ট হলেও প্রতিটি শিক্ষার্থীর বাড়িতে স্কুল ফিটিং বিস্কুট পৌছে দেওয়ায় অভিভাবক দের পরিবারে এ স্কুলের সুনাম রয়েছে।উক্ত প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক প্রতিনিধি মিরু মিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠানের স্কুল ফিটিং বিস্কুট আমরা সদস্যরা শিক্ষার্থীর বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। মশিউর রহমান ও জিয়াউর রহমান জানান, আমাদের এ প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষার্থী-তারপরেও ৩২২ জন শিক্ষার্থীদের পরিবারে উপবৃত্তির টাকা ও স্কুল ফিটিং বিস্কুট পেতে সমস্যা হয় বলে আমাদের মনে হয় না।উক্ত প্রতিষ্ঠাবের সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন চৌধুরী জানায়,প্রতিষ্ঠানটি সবার চোখে পরার মতো। তাই আমরা নির্ভূলে কাজ করার জন্য চেষ্টা করি।

এবিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকা লায়লা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, অভিভাবকরা যদি আমার প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে যদি ভালো বলে থাকে তাহলে আমার প্রতিষ্ঠান ভালো।এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুশফিকুর রহমান মুশফিক এর সাথে কথা হলে, তিনি জানান বর্তমানে করোনা পরিস্থিতে শিক্ষার্থীরা পুষ্টি সমৃদ্ধ বিস্কুট পেয়ে বেড়ে উঠুক সেই সাথে আমার ক্লাস্টরের পক্ষথেকে প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ও অভিভাবক প্রতিনিধি দের এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।

Post a Comment

0 Comments