আজম বাদশা সাবু জলঢাকা, (নীলফামারী) প্রতিনিধি :নীলফামারীর জলঢাকায় বিয়ের পরেরদিন স্বামীর বিরুদ্ধে
লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী রিক্তা রানী রায় (৩৫) । সে উপজেলার পূর্ব শিমুলবাড়ী জগেন্দ্র চন্দ্র রায়ের
মেয়ে। অভিযোগে বলা হয়, পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড দুন্দিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে
দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার একপর্যায়ে ২/৩ বছর আগে তা শারীরিক সম্পর্কে
পরিনত হয়।
ঘটনার দিন সোমবার দুপুর ২টায় ওই প্রধান শিক্ষক অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন নিয়ে
রিক্তা রানীর বাড়ীতে গিয়ে বিবাহের কথা প্রকাশ করলে বিবাহ রেজিষ্ট্রি সম্পূর্ণ হয়
এবং পরে সনাতন ধর্মীয়মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। হঠাৎ সন্ধ্যায় তার পরিবারের লোকজন
অনিলকে ফোন দিলে আচমকা তিনি বদলে যান। পরে মটরসাইকেল যোগে সেখান থেকে স্থান ত্যাগ
করেন। পরবর্তীতে পরিবারের লোকের চাপে রিক্তা রানীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য মোবাইল
ফোনে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদর্শন করেন।
এবিষয়ে সনাতন ধর্মের নিকাহ রেজিষ্ট্রার (কাজী) বিকাশ চন্দ্র রায় বলেন, ধর্মীয় এবং সরকারী আইন মোতাবেক এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত বর প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র রায়কে মুঠো ফোনে (০১৭১৭৯৩২৫৮০) বার বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নববধু রিক্তা রাণী বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টী অভিযোগ পাওয়া গেছে।
0 Comments