বিজ্ঞাপন দিন

কষ্টে জীবন যাপন করেছেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ।



গোলাম রব্বানী ডলার নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ;করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের প্রার্দুভাব দিন-দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে সেই সাথে মৃত্যু ও সরকারের পক্ষ থেকে সকল পেশার মানুষকে ঘরে থাকার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে । সেই সাথে দীর্ঘ হচ্ছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ । এতে করে সরকারের অনুদান প্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিপাকে না পড়লে ও ,বিপাকে পড়েছে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ও ঐসব বিদ্যালয়ের কমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা  এতে করে চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন শিক্ষক ও অসহায় ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা । তারাও তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে । এতে করে প্রাথমিক শিক্ষার হার ঝড়ে পড়বে বলে অসংখ্য করছে । এদিকে নন-এমপি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এককালীন প্রণোদনা জন্য শিক্ষকদের তথ্য নেওয়া হয়েছে।

বিশেষ করে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত প্রণোদনা বা আর্থিক সহায়তায় , ব্যবস্থা না হওয়ায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা ।বেতন ভাতা না থাকায় জীবন-যাপনের জন্য এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা পাঠদান শেষে বিভিন্ন ক্ষুদ্র কাজে কর্মরত ছিলো । করোনা ভাইরাসের কারণে তাও বন্ধ ।কর্মহীন হয়ে পড়ায় স্ত্রী সন্তান মা বাবা পরিবার-পরিজন নিয়ে মহা -বিপদে আছেন তারা এমনকি অনেক শিক্ষকের পরিবারে ঈদের ছোঁয়া লাগেনি এবার ।যেখানে বেসরকারি শিক্ষকদের নুন আনতে পানতা ফুরায় সেখানে দীর্ঘ-দিন কর্ম না থাকায় অর্ধাহারে – অনাহার ঘরে থাকতে হচ্ছে তাদের।

হে মান্যবর প্রধানমন্ত্রী

আপনি মানবতার মা । এই দেশের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আপনি ও আপনার পরিবারের যে ত্যাগের নজির রয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল । দেশের মানুষকে ভালো রাখতে দিন-রাত চেষ্টা করে যাচ্ছেন ।দেশের সবচে বেশি পরিশ্রমী মানুষ এখন আপনি । করোনা মোকাবেলায় আপনার উদ্যোগ শ্রম ও তৎপরতা বিশ্বে প্রশংসিত ।

এই সংকট-কালে ৫০ লক্ষ মানুষের মধ্যে মানবিক সহায়তা ও নানা খাতে প্রণোদনা ঘোষণা করে ইতোমধ্যেই আপনি সংকটাপন্ন মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন । একজন উদার , মানবিক, জন-দরদি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ।

এই সংকটকালে দেশের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে শিক্ষাখাত । বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা । প্রাথমিক শিক্ষা , শিক্ষার মুলভিত্তি হলে ও ২০১৩ সনে জাতীয়করণ কালীন পরিসংখ্যান ভুলের কারণে অল্প সংখ্যক বিদ্যালয় জাতীয়করণের বাহিরে । প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি অংশ সরকারি বেতন ভাতা পেলেও আর একটি অংশের কপালে জোটেনি বেতন ভাতা । করোনা সংকটে ও জোটেনি প্রণোদনা ও আর্থিক সহায়তা । এমতাবস্থায় ২০২০-২১অর্থ বছরে এই বিদ্যালয়গুলোর জাতীয়করণের অর্থ বরাদ্দ রেখে ।জরুরি ভিত্তিতে এই শিক্ষকদের বেতন ভাতা ও প্রণোদনার সবিনয় অনুরোধ করছি ।

Post a Comment

0 Comments