বিজ্ঞাপন দিন

ডিমলায় স্বামীর পাষবিক নির্যাতনের শিকার কাকলী আক্তার

রবিউল ইসলাম রাজ,নীলফামারী প্রতিবেদকঃ নীলফামারীর ডিমলায় পারিবারিক সামান্য বিষয়ে তুলকালাম বানিয়ে স্ত্রীকে প্রতিদিন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে বখাটে স্বামী নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে। রোববার রাতে প্রথম দফায় স্বামী ও পরে শাশুড়ী ননদের পাষবিক নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে নির্যাতিত নারী খাতিজাতুন জান্নাত কাকলী আক্তার (২০)। নির্যাতনকারী হলেন,অভিযুক্ত স্বামী নাজমুল হুদা,শাশুড়ী নাজলী বেগম,ননদ আরজুমা আক্তার ও সুমাইয়া আক্তার। এরা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলি গ্রামের আমিনুর রহমান মাওলানার পরিবারবর্গ।

ভুক্তভোগী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, খাতিজাতুন জান্নাত কাকলী আক্তারকে বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে স্বামী নাজমুল হুদা। সে যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই কাকলী আক্তারের উপর নির্যাতন চালায় বখাটে স্বামী নাজমুল হুদা। নির্যাতিত কাকলী কয়েক দফা হাসপাতালে ও গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন। এঘটনায় বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠকে ভালো হয়ে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্ত্রী কাকলী আক্তারকে বাড়িতে নিয়ে আবার নির্যাতন শুরু করে। সর্বশেষ রোববার রাতে তাকে বেধরক মারধর করলে তিনি গুরুতর আহত হন।

গৃহবধূ খাতিজাতুন জান্নাত কাকলী আক্তার এ প্রতিবেদককে বলেন, “বিয়ের পর থেকেই প্রায়ই তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় আমার স্বামী। প্রায় আমাকে বলে যা তোর বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আয়। এ নিয়ে কথায় কথায় আমাকে মারধর করে। সে অন্য মেয়ের সাথে মোবাইলেও কথা বলে। আমি কিছু বলতে গেলে এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিন আমাকে নির্যাতন করে। পরশুদিন হঠাৎ বাড়িতে এসে আমার বাবার দেয়া মোটরসাইকেল আমার সামনে লাথি মারতে থাকে। আমি কিছু বলতে গেলে আমাকে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর আমাকে বেধরক মারপিট করে। তারপর আমার শাশুড়ী ননদরাও আমাকে মেরেছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত পরিবারের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করলেও তারা মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দিতে আসেনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।