বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মসজিদ মন্দির গীর্জায় বিশেষ দোয়া প্রার্থনা

রবিউল ইসলাম রাজ, জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : বিশ্ববাসীকে ঘরে আটকানো এক অদৃশ্য শক্তির নাম করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাস বর্তমানে বাংলাদেশে মহামারিতে পরিনত হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশে শুরু হয়েছে গেছে মৃত্যু মিছিল। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক মানুষ করোনার কাছে হেরে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার মানুষের প্রাণ কেঁড়ে নিয়েছে করোনা এবং সোয়া লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। বর্তমানে এই ভাইরাস পুরো দেশে ছড়িয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা ও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় মসজিদে - মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুক্রবার জুম্মা'র নামাজ শেষে আল্লাহ তাআ'লার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে মুসল্লিরা। একই সময়ে উপজেলার এক পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নের মসজিদ গুলোতে একযোগে জলঢাকাবাসী সহ দেশবাসীকে এই মহামারি থেকে রক্ষার জন্য এই দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 

এছাড়াও ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মন্দির ও গীর্জায় প্রার্থনা করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। শুক্রবার সকালে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক এনামুল হকের তত্বাবধানে ফাউন্ডেশনের কর্মী,রেজওয়ান প্রামাণিক, জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষক, তৈয়ব আলী, সাইদুল ইসলাম, ফাহিম খান, আল আমিন, আবু তালেব, রায়হান, আলিমুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, মনোয়ারুল ইসলাম, দুলাল হোসেন ও গোলাপ সহ আরও অনেকেই বিচ্ছিন্নভাবে মসজিদে - মসজিদে গিয়ে খতিবদের কাছে সংগঠনটির পক্ষে দোয়ার জন্য আবেদনপত্র পৌছে দিয়েছে। একইভাবে মন্দির ও গীর্জায় প্রার্থনার আবেদন করেছে।করোনাকালে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এক পৌরসভা সহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১২'শ দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছিলো। 

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক এনামুল হক জানায়,করোনা ভাইরাস সংক্রমণ যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে অসহায়ের মতো জীবনযাপন করছে দেশের মানুষ। এ অবস্থায় সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই। একমাত্র উপরওয়ালা আমাদের সকলকে হেফাজত ও রক্ষা করতে পারে। এ জন্য ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উপজেলার প্রত্যেক মসজিদ,মন্দির সহ গির্জায় বিশেষ দোয়া করা হয়েছে। করোনা সময়ে অসহায় দুস্ত মানুষের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাফেরা করবো এবং অপ্রয়োজনে বাড়িতেই অবস্থান করবো।