বিজ্ঞাপন দিন

“রেডএলার্ট নয়” ডালিয়া তিস্তা ব্রীজের হৃদপিন্ড বন্ধ

আব্দুল মালেক, নীলফামারীঃ রেডএলার্ট নয়, ডালিয়া তিস্তা ব্রীজের হৃদপিন্ড বন্ধ। কিন্তু কেউ কেউ বলছে তিস্তা ব্রীজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে দেখা যায়, ৩৭ থেকে ৪৪নং গেট পর্যন্ত ০৮টি গেট বর্তমানে ঝুকির মধ্যে আছে। মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিনে গেলে নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেটের মধ্যে ০৮টি গেটের উজান ও ভাটিতে বালুর চর উঠতে দেখা যায়। ব্রীজের গেটম্যানের নাম জানতে চাইলে এবং তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি করোনা করোনা বলে পালিয়ে যায়। তবে গেটম্যানের হেলপার লোকমান আলী জানান, এসব বিষয়ে আমরা কিছুই বলতে পারবো না।

উল্লেখ্য যে, গত ২৫ জুন থেকে দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় উজান থেকে ঢলে আসা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নীলফামারীর দুটি উপজেলার প্রায় ১০টি ইউনিয়ন। এতে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার ছিলো পানি বন্দি।



ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেকর্ড অনুযায়ী তিস্তা নদীতে বিপদ সীমার ৩৩ থেকে ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। প্রতিনিয়তই পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা ব্যারেজটি নিয়ে অনেকটাই সঙ্কার মধ্যে ছিল কর্তৃপক্ষ। তাই দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় রেডএলার্ট জারি করেছে ডালিয়া পাউবো। তবে রেডএলার্ট জারি করার কথা বললেও বাস্তবে দেখা মেলে ব্রীজের দক্ষিণ দিকের ৩৭ থেকে ৪৪ নং গেট পর্যন্ত বালু চরে বন্ধ হয়ে গেছে।



নাম না বলা সর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বালু স্কিাশনের এই কয়েকটি আন্ডার গ্রাউন্ড গেটের কথা জানান, ব্রীজের ২৬ ফুট নিচে বালু নিস্কাশনের জন্য আন্ডার গ্রাউন্ড গেটের তলপেট ভরে মুখ রন্ধ হয়ে যায়। গত বছরে এই গেট গুলো সংস্কার করার কথা থাকলেও উর্দ্ধতন কর্মকর্তার গাফলতির কারনে সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে ব্রীজটি পড়েছিলো ঝুকির মধ্যে। মেইন গেটের সামনে বালুর চর দেখা দেয়ায়, তিস্তা ক্যানেলের ০৮টি গেটও সঙ্কার মধ্যে পড়েছে। ব্রীজ দেখতে আসা অনেকে বলছে, এবারেই প্রথম ব্রীজের দুই পাড়ে বালুর চর দেখা যায়।



ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) শামচ্ছুদ্দোহা দেখা করতে সা চাইলেও মুঠো ফোনে বলেন, আমরা ৪৪টি গেটেই মে মাসে খুলে দিয়েছি। কি কারণে বালু জমাট হয়েছে বলতে পারবো না, তবে নদীর পানি কমলে বালু গুলো সরানোর ব্যবস্থা আমরা করবো।