বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীর ডিমলায় হাসান আলীকে হত্যা করা হয়েছে দাবী পরিবারের

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর ডিমলা সদর উপজেলার সদর ডিমলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড তিতপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের বড় ছেলে হাসান আলীকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী নিহতের পরিবারের। পরিবারের অভিযোগ, গত ২ জুলাই রাত দশটার দিকে হাজীপাড়া মেন্ডার চৌপথি নামক স্থানে মৃত আব্বাস আলীর ছেলে সামছুল হক ও একই এলাকার মুত ভকি মামুদের ছেলে সহিদুল ইসলামের মধ্যে জমি বন্ধকের টাকা নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকের এক পর্য়ায়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাসান আলী, সে উভয় পক্ষের ঝসড়া মিঠমাটের চেষ্টাও করেন। সালিশে ঝগড়া বিবাদ চলাকালীন হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। নিহতের পরিবারের দাবী, রাতে অন্ধকারে কে বা কাহারা তার বুকে আঘাত করে। পরে বুকের ব্যাথায় পার্শবতী একটি বেঞ্চে বসার কিছুক্ষন পর স্থানীয় লোকজনসহ তার ছোট ভাই স্বপন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কতৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহতের স্ত্রী মহেছেনা খাতুন জানান, আমার স্বামীর অপমৃত্যু হয়নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার দুই মেয়ে ছদ্দনাম মায়া ও জয়া জানান, তাদের বাবাকে ফোনের উপর ফোন করে ডেকে নিয়েছে, ভাত খাওয়ারো সময় দেয়নি। সেই সালিশে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হাসান আলীকে ডেকে নেয় লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল মান্নান ও মৃত কপর উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম নজু। সেখানে আমাদের বাবাকে মেরেছে। তারাও পিতা হত্যার ন্যায় বিচার দাবী করেন। নিহত হাসান আলীর পিতা ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম সরির্ষা এ প্রতিবেদককে বলেন,তার ছেলের অপমৃত্যু হয়নি, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হাসানের দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে চরম বিপদে আছি। সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার দাবী করছি। এ বিষয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম মুঠো ফোনে জানান, গত ৮ আগষ্ঠ সদ্য যোগদান করেছি, এ মামলার বিষয় কিছুই জানিনা। তবে বাদী পক্ষের কেউ আসলে বিষয়টা জানতে পারবো।