বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় ৯২জন দলিল লেখকের নামে থানায় অভিযোগ



মনিরুজ্জামান লেবু,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় দলিলের পিছনে বিশেষ সিল ব্যবহার করায় দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ ৯২ জন দলিল লেখকের বিরুদ্ধে সাব-রেজিষ্টারের নিদের্শে অফিস সহকারী মনোরঞ্জন রায় বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

অভিযোগে জানাযায়,সম্প্রতি ৪৫৪টি দলিলের পিছনে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করে দলিল সম্পাদন করেছেন অভিযুক্ত ওই দলিল লেখকরা। যা ১৯০৮ সালের ভূমি রেজিষ্ট্রেশন আইনের পরিপন্থী বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে জলঢাকা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডারের সাথে কথা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নাই। তবে সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন সরকার জানান,এই আইনটি আমরা জানতাম না। তাই এখন আর সিল ব্যবহার করছি না।

অভিযোগের বাদী অফিস সহকারী মনোরঞ্জন রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সাব-রেজিস্টারের আদেশে অভিযোগটি আমি থানায় জমা দিয়েছি। তবে অভিযোগে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডারের নাম নেই কেন জানতে চাইলে তিনি জানান তার সম্পাদিত দলিলগুলোর পিছনে বিশেষ কোন সিল পাওয়া যায় নাই,তাই ওনার নাম অভিযোগে দেওয়া হয় নাই। 

অভিযোগের বিষয় বক্তব্য জানতে চাইলে সাব-রেজিস্টার মনিষা রায় অাজ শনিবার দুপুরে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন,এটা আমার অফিসিয়াল ব্যাপার। অফিসিয়াল ভাবে বুঝবো। এতে আমার বক্তব্য দেওয়ার কি আছে। আপনারা যা পারেন করেন।

অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,সাব-রেজিস্টারের আদেশে তার অফিস সহকারী একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত চলছে।

উল্লেখ্য,গত ১২ অক্টোবর/২০ সাব রেজিস্টার অফিসে দলিল লেখক আনিছুর রহমান দলিলের পিছনে বিশেষ সিল ছাড়া দলিল সম্পাদন করতে চাইলে সমিতির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের সহযোগিরা তার হাতে থাকা দলিলটি কেঁড়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে তাকে মারধর করার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলিল প্রতি সমিতির নামে দুই হাজার করে টাকা চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে আনিছুর রহমানসহ কয়েকজন ভুক্তভোগি অফিস চত্ত¡রে প্রতিবাদ সভা করে এবং ৮জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যা দেশের বিভিন্ন ইলেক্ট্রোনিন্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। 
এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন 
জেলা রেজিস্টার মোঃ সাখওয়াত হোসেন।

Post a Comment

0 Comments