বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় দিন দুপুরে ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা থানায় অভিযোগ



জাহিনুর ইসলাম (জীবন)জলঢাকা-নীলফামারী:নীলফামারীর জলঢাকায় দিন দুপুরে ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা ও অপহরণকারীর ব্যবহারকৃত মটরসাইকেল আটক থানায় অভিযোগ, এ ঘটনাটি জলঢাকা পৌরসভার ০৬নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকায়। লিখিত অভিযোগে ও সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে ১১ অক্টোবর রবিবার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের (তিলাই) এলাকার ছমের আলীর স্কুল পড়ুয়া কন্যা ও গোলমুন্ডা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী শাহিনা আক্তার, জলঢাকা পৌরসভার কাজীরহাটে মামা ছাপিয়ার রহমানের বাড়িতে বেড়াতে যায়। মামার বাড়িতে কয়েকদিন থাকার পর ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৮টায় মামা ছাপিয়ার রহমান তার বাড়ি হতে ভাগিনী শাহিনা আক্তারকে গোলমুন্ডা তিলাইর উদ্দেশ্যে তার নিজ বাড়িতে পৌছে দেওয়ার জন্য ভ্যান গাড়িতে যাওয়ার পথে কদমতলী নামক এলাকায় বাদলের “ছ” মিলের সামনে কয়েকটি মটরসাইকেল এসে ভ্যান গাড়িটি আটক করে। একই এলাকার গোলমুন্ডা (তিলাই) এর একাধীক মামলার আসামী জহির উদ্দিনসহ ৮/১০জনের একটি দল। পরে ভ্যান গাড়ি থেকে শাহিনা আক্তারকে টেনে নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে তার মামা ছাপিয়ার রহমান ও ভ্যান চালক বুলবুল হোসেন বাঁধা প্রদান করলে পুনরায় ভ্যান গাড়িটি ট্রাফিক মোড়ের উদ্দেশ্যে যেতে থাকে। তারপরেও তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালায় অপহরণকারীরা। পৌরসভা বাজারে অগ্রণী ব্যাংকের সামনে ডালিয়া রোডে শাহিনা আক্তার ও তার মামা ছাপিয়ার রহমান আত্ম চিৎকার করলে বাজারের লোকজনের সমাগম ঘটে। পরে নিজেদের নিরাপত্তা ও বাঁচার জন্য ফজলুর রহমানের চাউলের আড়তের ভিতরে ঢুকে পরে। সেখানেও তাকে জোড় পূর্বক অপহরণের চেষ্টা চালানো হয়। এ ঘটনা দেখে বাজারের লোকজন দুর্বিত্তদের আটক করার চেষ্টা করলে অপহরণকারীরা তাদের একটি মটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় । পরবর্তীতে এ ঘটনা জলঢাকা থানায় অবগত করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মটরসাইকেল, হেলমেড, চাবি ইত্যাদি সরঞ্জাম জব্দ করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর মা আঞ্জুয়ারা বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 


Post a Comment

0 Comments