বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকার কাঁঠালী ইউনিয়নে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে উত্থান একাদশীর ব্রত পালন।

জল ডেস্ক:

বব্র্তিক মাসের ব্রত  সমাপনান্তে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রথম একাদশীটি কে বলা হয় উত্থান কিংবা জাগরণ একাদশী।

এই একাদশীর ব্রত পালন উপলক্ষে 

যথাযথ ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে,গতকাল বৃহস্পতিবার(২৬/১১/২০২০) দ্বিতীয় প্রহর ব্যপী পশ্চিম কাঁঠালী নাওঠেলার পাড় সার্বজনীন কালী ও বিষ্ণু মন্দির প্রাঙ্গনে,মন্দির কমিটির উদ্যোগে ধর্মীয় আলোচনা ও লীলা কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জলঢাকা উপজেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক লিটন কর্মকার।

মুখ্য আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক অবিনাশ রায়।

মুখ্য আলোচক তার বক্তব্যে বলেন যে,"একাদশীর ব্রত পালন মানে  কোন আনন্দ উৎসব নয়।এই ব্রত পালনের প্রধান কাজটি হলো  উপবাস দেয়া।আর উপবাসের  অর্থ হলো আত্ম সংযম।

এই আত্ম সংযম তথা আত্ম শুদ্ধির মধ্য দিয়ে,স্রষ্টার নির্দেশিত পথে নিজেকে ও আমাদের সমাজটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।এখানেই ব্রত পালনের সার্থকতা।"

স্থানীয় সমাজ সেবক সুরেশ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে,মঙ্গল দীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা করেন,

ঐক্য পরিষদ জলঢাকা উপজেলার শাখার সহ-সভাপতি লাল বাবু রায় (নির্মল)।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,কৈলাশ চন্দ্র রায়,নন্দ লাল রায়,বিশ্বনাথ রায়(ছবিন),পীযুষ চন্দ্র রায়,ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি পরিতোষ রায়,সাধারণ সম্পাদক বিকাশ রায় সহ এলাকার অন্যান্য গণ্য-মান্য ব্যক্তি।

সহস্রাধিক ভক্ত ও পূণ্যার্থীদের উপস্থিততে আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কাঁঠালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি  ডা.অমল চন্দ্র রায়।

উল্লেখ্য যে,আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল ভক্তদের মাঝে মাস্ক বিতরন করা হয়।

Post a Comment

0 Comments