বিজ্ঞাপন দিন

ট্রেন আসার হুইসেল শুনলে প্রায়ই হুড়োহুড়ি



রতন কুমার রায়,ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:  নীলফামারীর সৈয়দপুর ও ডোমার উপজেলা রেললাইন ঘেঁষে বসছে নিয়মিত শীতবস্ত্রের বাজার। এছাড়া বিভিন্ন দোকানপাটসহ খাদ্যসামগ্রীর দোকান বসতে দেখা যাচ্ছে। ট্রেন আসার হুইসেল শুনলে প্রায়ই হুড়োহুড়ি করে লোকজন ও দোকানপাট নিয়ে দোকানিদের সরতে দেখা যায়। 

জানা গেছে, ঢাকা-খুলনা-রাজশাহী থেকে সৈয়দপুর হয়ে নীলফামারী ও চিলাহাটিগামী রেলপথে সকাল দুপুর ও রাতে নিয়মিত চলাচল করছে আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেন। সৈয়দপুর শহরের ভেতর দিয়ে গেছে রেললাইন। শহরের নতুন বাবুপাড়া এলাকার সমাজ সেবক আলমগীর হোসন বলেন, রেললাইনের ধারে এ সব দোকান ঝুঁকিপূর্ণ।এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

দেখা গেছে, এই শহরের ভেতর দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে। সৈয়দপুর রেলস্টেশনের অদূরে মূল শহরের ভেতর রয়েছে দুটি রেলগেট। এই দুই রেলগেটের মাঝপথ জুড়েই বসছে দোকানপাট ও শীতের কাপড় বিক্রির হাট। শীতকাল হওয়ায় রেললাইনের ধারেও বিক্রি করা হচ্ছে গরম মুখরোচক খাদ্য। এর মধ্যে হাতিখানা, রেলঘুমটি, গোলাহাট, মোখলেছের মিলের পেছনে বিকাল ও সন্ধ্যা হলেই বসে লোকজনের আড্ডার আসর।

এদিকে ডোমার উপজেলার রেলঘুমটি রেললাইনের স্লিপার ঘেঁষে ছোট বড় প্রায় শতাধিক দোকান গাদাগাদি করে বসেছে।ট্রেন আসার হুইসেল শুনলে দোকানিরা কিছুটা গুটিয়ে নেন পসরা।

ট্রেন কাছাকাছি এলে তাড়াহুড়ো করে লোকজন ও দোকানপাট ওঠে যায়। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।রেললাইন ঘেঁষে দোকানপাটের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এখানকার দোকানিরা জানান, জীবিকার তাগিদেই তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে রেললাইনের ওপর ব্যবসা করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেললাইনের উভয়পাশে কমপক্ষে ২০ ফুট করে জায়গা ফাঁকা রাখার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলওয়ের উভয় পাশে পর্যাপ্ত জায়গা রেখে সীমানা নির্ধারণ করে রেখেছে। কিন্তু এ সব জায়গা চলে যাচ্ছে অবৈধ দখলদারদের কবলে।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শওকত আলী বলেন,এরই মধ্যে রেললাইনের ধারে বেশকিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। শিগগির রেললাইনের ওপর দোকানপাট উচ্ছেদ ও জটলা বন্ধ করা হবে।


Post a Comment

0 Comments