বিজ্ঞাপন দিন

আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান হাদি ছাত্রলীগের কান্ডারী

রাশেদুজ্জামান সুমন, জলঢাকা প্রতিনিধিঃ নাম হাদিউজ্জামান হাদি। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। বাবা প্রয়াত তফিজ উদ্দিন। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও কৈমারী ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের সফল সভাপতি। ত্যাগি এই রাজনৈতিক নেতা বিএনপি জামায়াতের আমলে অনেক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। তারপরও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে পিছ পা হননি। বড় ভাই মরহুম হাবিবুর রহমান হাসু দেড় যুগ অতিবাহিত করেছে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে। তিনিও চার দলীয় জোট সরকারের সময় বিভিন্ন মামলা হামলার স্বীকার হয়েছেন। আর এক ভাই হাসানুর রহমান শাহিন। দিনাজপুর সরকারী কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে জেলা সজীব ওয়াজেদ জয়লীগের সাধারণ সম্পাদক। সেই পরিবারের সন্তান হাদিউজ্জামান হাদিকে জলঢাকা ছাত্রলীগের সভাপতি বানিয়ে ঝিমিয়ে পড়া দলটাকে চাঙ্গা করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছে নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগ। এতে পূর্বের কমিটির কিছু লোক হাদিকে জামায়াত শিবির বানার চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০১১ সালে জলঢাকা ডিগ্রি কলেজের তখনকার ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেনের হাত ধরে ছাত্রলীগের পদার্পন। বর্তমানে তিনি দি পিপলস ইউনিভারসিটি অব বাংলাদেশ মাস্টারসে অধ্যায়নরত রয়েছেন। এই নয় বছরে ছাত্রলীগের একজন পরীক্ষিত নেতা হিসাবে তিনি সবার মন জয় করেছেন। যার সুফল হিসাবে পেয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদটি। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা গুজব ছড়িয়েছে তাদের বলতে চাই।আমি আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিশ্বাস করি। বাবা, ভাইদের দেখেই আমি এ রাজনীতিতে পথ চলা শুরু করি। জেলা নের্তৃবৃন্দ আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই লক্ষে আমি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি ঝিমিয়ে পড়া ছাত্রলীগকে দেশের রোল মডেল হিসাবে উপহার দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চাই। গত নয় বছর কোন কমিটি না হওয়ায় ছাত্রলীগের পৌর কমিটি ইউনিয়ন কমিটি কলেজ শাখা ছন্নছাড়া অবস্থায় রয়েছে। আমি এগুলো পূনর্গঠন করে শীঘ্রই পূনাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করব।

Post a Comment

0 Comments