বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা ! আহত ৩ থানায় অভিযোগ

জাহিনুর ইসলাম জীবন, জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর জলঢাকায় বালাগ্রাম ইউনিয়নের শালনগ্রাম দক্ষিনপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ আইনকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে ফ্রি পাঠদান ক্ব-রীয়ানা পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষা মাদরাসা ঘরের আসবাবপত্র ও মাইকসহ সরঞ্জাম ভেঙ্গে দিয়েছে এলাকার দুর্বৃত্তরা। জানা গেছে বুধবার সকালে প্রতিষ্ঠান পরিচালক প্রয়াত দিল মামুনের ছেলে মোঃ সম্রাট হোসেন ওরফে হযরত আলী (৩৭) দীর্ঘদিন থেকে এই মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছে। এ ফ্রি পাঠদান ক্ব-রীয়ানা মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তায় আর্থিক সহযোগীতার জন্য ইসলাম প্রিয় মানুষের নিকট সাহায্য নেওয়ার কাজ শুরু করলে প্রতিবেশী মোকছেদুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম, ওবায়দুর ইসলাম, আব্দুস ছাত্তার প্রতিপক্ষ হিংসাবশতঃ তার এ ভালো কর্মকান্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁধা প্রদান করে। এতে হযরত আলীর মাইক, মেশিন, ইউনিটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভেঙ্গে ফেলে প্রতিপক্ষরা। এসময় তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে হযরত আলী বাঁধা নিষেধ করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে মাদ্রাসার পরিচালকসহ তার বড় ভাই ওবায়দুল ইসলাম (৪৫) স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩০) কে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। পরে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলাকারীরা হলেন, জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক প্রয়াত মজিবর রহমানের ছেলে মোঃ মোকছেদুল ইসলাম (৪৫) ও তার ভাই ওবায়দুল ইসলাম (৪৪) আফতাব উদ্দীনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৪৪) রফিক উদ্দীনের ছেলে আব্দুস সাত্তার (৪৪) সহ সাঙ্গপাঙ্গরা। সরেজমিনে শিক্ষার্থী মোরছালীন (৯) আবুল কাশেম (১০) শাহিদ (৮) কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, হুজুর আমাদের ফ্রিতে ক্ব-রীয়ানা পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষা দেয়, আমাদের অনেকের বাবা-মা নেই। তিনি আমাদের ৪০ জনকে ফ্রি শিক্ষার পাশাপাশি প্রচুর ভালবাসেন, আমাদের সামনে এ হামলা চালানো হয়। এবিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালক সম্রাট হোসেন বাদী হয়ে ৪জনকে আসামী করে জলঢাকা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

Post a Comment

0 Comments