বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় আসামি ধরিয়ে দেওয়ার জের ধরে গ্রাম পুলিশের উপর হামলা

ফরহাদ ইসলাম জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়ার জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আসামি কর্তৃক হামলার শিকার ওই গ্রাম পুলিশ। তিনি উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অভিযোগ এবং হামলার শিকার গ্রাম পুলিশ সদস্য বিষ্ণু চন্দ্র রায়ের সাথে কথা বলে জানা যায়,চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের বাঁশদহ পাটোয়ারিপাড়া এলাকার ধনঞ্জয় রায়ের ছেলে গোপাল চন্দ্র রায়ের নামে বিজ্ঞ আদালত থেকে (জি আর নং১৭২/১৯) একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু হলে গ্রাম পুলিশ সদস্য বিষ্ণু চন্দ্র রায়ের সহযোগিতায় আসামি গোপাল চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করে এ.এস.আই রেজাউল করিম। পরবর্তীতে জেল থেকে বাহির হয়ে গ্রাম পুলিশ সদস্য বিষ্ণু চন্দ্রকে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করেন গোপাল চন্দ্র। ঘটনার দিন গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে বাশঁদহ সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয় গামী কাচা রাস্তার পাশে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খর বোঝাই একটি ভটভটি গোপাল চন্দ্র রায়ের কপি ক্ষেতে উল্টে পড়ে। এসময় ভটভটি চালক নজু ইসলামের গাড়ি আটক রেখে মারধর করে গোপাল চন্দ্র। ভটভটি চালক বিষয়টি মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অবগত করলে তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী বিট অফিসার এ.এস.আই রাশেদ মিয়া ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ সদস্য বিষ্ণু চন্দ্রকে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। গ্রাম পুলিশ সদস্য বিষ্ণু চন্দ্র ঘটনাস্থলে গেলে পূর্বের ঘটনার জের ধরে প্রথমে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করে এবং এক পর্যায়ে তার শরিরে থাকা গ্রাম পুলিশের পোষকটির বিভিন্ন জায়গায় ছিড়ে ফেলে গোপাল চন্দ্রসহ তার দুই সহযোগি। জীবন বাঁচার ভয়ে তার ব্যবহৃত বাইসাইকেল রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসেন গ্রাম পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় ওই দিনই গোপাল চন্দ্রকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করেন হামলার শিকার ওই গ্রাম পুলিশ সদস্য। অভিযোগ দায়েরের পরদিন উল্টো গ্রাম পুলিশ সদস্যকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে চুপচাপ থাকার নির্দেশ দেন মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী বিট অফিসার এ.এস.আই রাশেদ মিয়া। এমনকি গ্রাম পুলিশ সদস্য বিষ্ণু চন্দ্রকে মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলেন ওই এ.এস.আই । যে পুলিশ অফিসারের জন্য হামলার শিকার হন ওই গ্রাম পুলিশ সদস্য। তবে দায়িত্ব পালনে একজন গ্রাম পুলিশের উপর এরকম হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযোগটি রুজু করা হয়নি। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন,বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারি জলঢাকা উপজেলা শাখার সভাপতি আনিছুর রহমান। দায়িত্ব পালনে একজন গ্রাম পুলিশের উপর হামলাকারীদের অতিদ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘‘অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন,‘‘ইতিমধ্যে আমি ওসি সাহেবকে নির্দেশ দিয়েছি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’’

Post a Comment

0 Comments