বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় ঔষধ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট।। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়

মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় বুধবার (৬ জানুয়ারী) বিকেলে পৌর শহরের ভেজাল বিরোধী অভিযানে অনিন্দ্য মেডিকেল হলে মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ ও সেম্পল রাখার অপরাধে ১৯৪০ সালের ঔষধ আইনের ১৮ ধারায় অভিযোগ গঠন করে ৫ শত টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভুঁইয়া। এসময় নীলফামারী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঔষধ তত্বাবধায়ক কাজি মোহাম্মদ ফরহাদ উপস্থিত ছিলেন। মোবাইল কোর্টে জরিমানা দেওয়া অনিন্দ্য মেডিকেল হলের মালিক মাহবুবুর রহমান মনি জলঢাকা ঔষধ বিক্রেতা এসোসিয়েশনের সভাপতি হওয়ায় সরকারের চলমান ভেজাল বিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গোটা উপজেলায় ঔষধের দোকান বন্ধের ঘোষনা দেন। এতে বিপাকে পড়েন জলঢাকার সাধারন মানুষ। এসময় ঔষধের দোকান বন্ধ দেখে ঔষধ কিনতে আসা ভুক্তভোগীসহ সাধারন মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং এরকম গনবিরোধী কাজের নিন্দা জানান। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উঠে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় ঔষধ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট ডাকার কারনে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ অনলাইন পত্রিকা "বি-বার্তা ২৪.নেট" এর একটি নিউজ শেয়ার করে লেখেন- " এ প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিকার আন্দোলনের পথিকৃত সংগঠন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দোকানে রাখাটাই অপরাধ। এই অনৈতিক কাজকে আমরা কিছুতেই সমর্থন করিনা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথভাবেই দায়িত্ব পালন করেছেন। ঔষধ বিক্রেতাদের অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে সরকারের এই কঠিন অবস্থানকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। ঔষধ বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশন ভোক্তাদের ব্ল্যাকমেইল করতেই পারেনা। আমরা জলঢাকার অসাধু ঔষধ বিক্রেতাদের লাইসেন্স অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানাই।" সাংবাদিক মাহমুদ রাফিন তার পোস্টে লেখেন - "মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে যখন আমরা বক্তব্য দেই,লোকচার হাকাই, উপদেশ দেই আত্ব-অহমিকা নিয়ে, দেশ সেবার কথা বলি, দেশের মানুষের সেবক হওয়ার ভান ধরি তখন আমরা সকলেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু বাধ সাধে এই আইন যখন নিজের প্রতি প্রয়োগ হয়। 'আইন আছে বাস্তবায়ন নেই' কারন আমরা কেউই নিজের প্রতি আইনের প্রয়োগ মেনে নিতে পারি না। এই বিষয়টিতে আমাদের আরো সচেতন হওয়া জরুরী। ফ্যাক্টঃ জলঢাকায় সাধারন/অসহায় মানুষদের জিম্মি করে নীতিবহির্ভূতভাবে ঔষধের দোকান বন্ধ করে রাখা। Acland Jaldhaka মহাদয়, সরকারের সকল নির্দেশনা পালনে আরো সচেতন হবেন আশা করি।আপনার প্রতি অনুরোধ কারো ব্যক্তিগত, পেশাগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় বিবেচনা করে জনগনকে সেবা থেকে বঞ্চিত করবেন না।" ফেসবুক ব্যবহারকারী আনিস সাবেত লেখেন -- - রোগী/সাধারন মানুষদের জিম্মি করে এভাবে ধর্মঘটে যাওয়া অসভ্যতা-অমানবিক!!! যারা অন্যায় ভাবে দোকান বন্ধর ঘোষনা করেছে তাদের কাছে কোন ভাবেই নতিস্বীকার করা যাবেনা!!! সব দোকানের লাইসেন্স বাতিল করে মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক!!! #প্রশাষন #একটু #কঠোর #হলে #সবই #সম্ভব..... আপনারা ভেজাল ঔষধ দোকানে রাখবেন,,, মানুষের জীবন নিয়ে টম-জ্যারি খেলবেন .... ব্যবস্থা নিলে আবার আন্দোলন...... হুমকিসহ কতকিছু- এটা কি মগের মুল্লুক??? সাংবাদিক আব্দুল মালেক লেখেন জলঢাকায় হঠাৎ ঔষধ ফার্মেসী বন্ধ, চরম দুর্ভোগে ঔষধ কিনতে আসা রোগীর স্বজনরা,, আমি নিজেই ভোগান্তির শিকার// আর এক সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন লিটন তার পোস্টে লেখেন জলঢাকা উপজেলায় (মেডিসিন) ঔষধের দোকান বন্ধ কেনো...?????? (মেডিসিনের) ঔষধের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি জীবন রক্ষাকারী পণ্য নিয়ে স্বার্থের রাজনীতি কেন? প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জরুরী পদক্ষেপ চাই অতি দ্রুত? বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার,, জনগণের এই দুর্ভোগে ঘোচাতে নেতৃবৃন্দের জরুরী পদক্ষেপ চাই, জলঢাকা আওয়ামী লীগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি........!! জয় বাংলা,,জয় বঙ্গবন্ধু। এ বিষয়ে উপজেলা আ'লীগের সাধারন সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি তাৎক্ষণিকভাবে ঔষধ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মনির সাথে কথা বলি এবং দোকান খোলার আহবান জানাই। বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি জলঢাকা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হালুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, জেলা প্রশাসনের আস্বাসের প্রেক্ষিতে আমরা বুধবার রাতেই দোকানপাঠ খোলার সিদ্ধান্ত নেই। উল্লেখ্য গত ৬ জানুয়ারী উপজেলা প্রশাসনের ভেজালবিরোধী অভিযানে জলঢাকার অনিন্দ্য মেডিকেল স্টোরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও সেম্পল পাওয়ায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালত।

Post a Comment

0 Comments