বিজ্ঞাপন দিন

নারী দিবসে নয়া জলঢাকা আন্দোলনের ডাক দিলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ



আবেদ আলী স্টাফ রিপোর্টারঃ“করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে নীলফামারীর জলঢাকায় 

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এটাই প্রথমবারের মতো সহস্রাধিক নারীর সমাগমে জলঢাকার ইতিহাসে ৮মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে বিশাল একটি নারী বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা  পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জলঢাকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের আলোচনা সভায় মিলিত হয়। 

এতে একাত্তরের শহীদ-জায়া বোদন শ্বরী শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারী নেত্রী ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ বলেন,

আগামীর জলঢাকা হবে নতুন প্রজন্মের, নতুন দিগন্তের। আমাদের ফাউন্ডেশন 

নারী ও পুরুষদের নিয়ে নয়া জলঢাকা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

সভ্যতার শুরু থেকে সব কাজে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। বর্তমান সরকার নারী-পুরুষের সমতা বিধানে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সবধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে নানা কর্মসূচি নিয়েছেন।

জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীকে সহযাত্রী করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সরকার নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। 

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান বলেছেন, 

আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালের ৮মার্চ দিনটিকে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রদের নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য জাতিসংঘ দিবস হিসাবে ৮ মার্চকে ঘোষণা করার আহ্বান জানায়। বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ সাম্যের উদ্দেশ্যে কাজের জন্য এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভুঁইয়া। 

বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রেজওয়ানুল কবির সজীব, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক এনামুল হক প্রমুখ। 


আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ “নয়া জলঢাকা" আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

এসময় তিনি বলেছেন, জলঢাকা হবে নতুন প্রজন্মের, নতুন দিগন্তের। আমাদের ফাউন্ডেশন নারী ও পুরুষদের নিয়ে নয়া জলঢাকা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। তাই নারীদের আমরা পিছে ফেলে রাখতে চাই না। আমি এই জলঢাকার মাটির মেয়ে। আমি আপনাদেরকে নয়া জলঢাকা উপহার দিতে চাই। কিন্তু তাঁর জন্য শুধু আমার চাচা-ভাইদের সাথে নিয়ে নয়, আমার মা-বোনেদেরকেও আমার সাথে চাই। মনে রাখবেন, একটি পরিবারে যখন নারীর মুখে হাসি থাকে, সেই পরিবারে সূর্যের আলো খেলা করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা করোনাকে বিজয় করেছি। তাই আমাদের পক্ষে আগামীকে বদলে ফেলা মোটেও অসম্ভব নয়। আমরা সমতার বিশ্ব গড়তে চাই। আমরা সমতার জলঢাকা গড়তে চাই। জলঢাকা থেকে আমরা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দূর্নীতি দূর করতে চাই। 

নয়া জলঢাকা গঠনে আমরা নারী-পুরুষ এক সাথে কাজ করবো।  

তিনি আরো বলেন, এ বছরের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহযোগিতায় অনুষ্ঠান স্থলে দিনব্যাপী করোনা টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন ফাউন্ডেশনের সহস্রাধিক নারী কর্মীবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জলঢাকা পৌরসভা এলাকাতে বর্নাঢ্য র‍্যালী বের করেন ফাউন্ডেশনের সহস্রাধিক নারী কর্মীবৃন্দ।

Post a Comment

0 Comments