বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে কোভিট-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আবারো মাঠে নেমেছে জেলা পুলিশ

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ সারা বিশে^র ন্যায় বাংলাদেশে আবারো করোনা পরিস্থিতির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু, বাঁচতে চাইলে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, আবারো ভাইরাস ঠেকানোর যুদ্ধ চলছে বললেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন। সারাবিশ্বের মতো দেশেও করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে, মানুষকে সচেতন হতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানার দায়িত্ব আমার আপনার সকলের, বললেন পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান বিপিএম. পিপিএম।

কোভিট-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতা বাড়ার লক্ষে মাঠে নেমেছে নীলফামারী জেলা পুলিশ। রোববার দুপুরে নীলফামারী জেলা পুলিশের আয়োজনে নীলফামারী পৌর শহরের চৌরঙ্গীর মোড় স্মৃতি অম্লানে করোনা পরিস্থিতির দ্বিতীয় ঢেউ মেকাবেলায় ঘন্টাব্যাপী জনসচেতনতা মুলক র‌্যালী, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ স্টিকার, লিপলেট ও মাস্ক বিতরন কালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।

ঘন্টাব্যাপী জনসচেতনতা মুলক র‌্যালী, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ স্টিকার, লিপলেট ও মাস্ক বিতরন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান বিপিএম. পিপিএম বলেন, সারাবিশ্বের মতো দেশেও করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। সরকার ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ ঘোষণা করেছে, তাই স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষার প্রচারণা চালাচ্ছে। গণপরিবহন, হাট-বাজার, মার্কেট, কোথাও কোন মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। আমরা আইজি মহোদয়ের নির্দেশক্রমে করোনা পরিস্থিতির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতা মুলক ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ স্টিকার, লিপলেট ও মাস্ক বিতরন করছি, সকলকে সচেতন হতেই হবে।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন বলেন, এ মুহূর্তে সাধারন মানুষ মনে হয় যেন তাঁরা রিলাক্স হয়ে গেছে, কেউ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না। এ কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। এখনই মানুষ সচেতন না হলে এবং নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে করোনা ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মানুষকে শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে। তবে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা না খুললেও সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। অথচ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চাচ্ছেন না। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ ঘোষণা দেয়া হলেও প্রায়ই দেখা যায় মাস্ক ছাড়া মানুষ চলাফেরা করছেন। তিনি বলেন, শুধু শহরে সচেতনতা বাড়ালে হবে না, গ্রামের সাধারন মানুষের কাছে আমাদের যেতে হবে,  তাঁরা কোন কিছুর তোয়াক্কা করেনা। সারা বিশে^র ন্যায় বাংলাদেশে আবারো করোনা পরিস্থিতির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু, বাঁচতে চাইলে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান!র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, সদর উপজেলা মটরশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দেওয়ান মুজিউদ্দৌলা জকি, জেলা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তালেব ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ আরো অনেকে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এএসএম মুক্তারুজ্জামান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ, ওসি তদন্ত মাহমুদ উন নবী ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সেলিম আহম্মেদসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

 

চেীরঙ্গীর মোর স্মৃতি অম্লান চত্বরসহ পৌর শহরের বিভিন্ন টার্নিং পয়েন্টে গনপরিবহন বাস-ট্রাক, মিনিমাইক্রোবাস, পিকাপভ্যান,  অটোরিক্সা, অটোটেম্পু ও সিএনজি গুলোতে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ স্টিকার লাগানোসহ রিক্সা-ভ্যানের যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে লিপলেট এবং মাস্ক বিতরন করা হয়।



Post a Comment

0 Comments