বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের ডালভেঙ্গে ঘর ভাংচুর ও আহত-১



জাহিনুর ইসলাম জীবন,নীলফামারীজেলাপ্রতিনিধি:নীলফামারীর জলঢাকায় শুক্রবার রাতে বয়ে গেছে, কালবৈশাখী ঝড়। এ ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙ্গে থাকার ঘরে পরে ঘর ভাংচুর ও ১ বৃদ্ধ আহত। উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে শুক্রবার রাত প্রায় ১০টা ৩০ মিনিটে কালবৈশাখী ঝড়ে আর.ডি.আর.এস. সংলগ্ন শাইলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঐ এলাকার মহসিন আলী (৬৫) এর পুত্র ময়নুলের বাড়ীর থাকার ঘর সংলগ্ন তরুল  গাছের একটি বড় ডাল ভেঙ্গে পড়লে পুরো ঘরটি ভেঙে যায়। এ ডাল তার বৃদ্ধ বাবা মহসিন আলীর সোয়ার ঘরে পড়লে তার বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে তার মা মনোয়ার বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রাতে ঝড় আসলে তরুল গাছের বড় একটি ডাল আমাদের ঘরে পড়লে পুরো ঘরটি ভেঙ্গে যায় এবং আমার স্বামীর ঘাড়ে এ গাছের ডাল পরে গুরুতর আহত হয়। তিনি আরও বলেন আমরা এমনিতেই অসহায়। আমার বড়ছেলের একটি মেয়ে প্রায় ২০ বছর ধরে শারীরিক প্রতিবন্ধী আবার হঠাৎ করে এ সমস্যা হয়ে গেলে। তাই আমি সরকারের কাছে সাহায্য চাই। আমার ঘরটি মেরামত ও পরিবারের লোকজনের সু-চিকিৎসার জন্য। এ ব্যাপারে ময়নুল হক (৩৮) এর সাথে কথা বললে সে জানায়, কালবৈশাখীর ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়লে আমাদের থাকার ঘরটি ভেঙ্গে যায়। আমি বৃদ্ধা মা ও বাবা এবং স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে খুবেই কষ্টে আছি। দীর্ঘ দিন থেকে আমার একটি মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে রয়েছে। অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা ঠিক মতো করাতে পারছিনা। হঠাৎ করে রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে আমার বাড়ির থাকার ঘরটি ভেঙ্গে যায়। আমি বর্তমানে খুবেই অসহায় হয়ে পড়েছি। তাই সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের পরিবারে সাহায্য করলে উপকৃত হতাম । এ সময় ওই এলাকার অফিজ উদ্দিন বলেন, কাল রাতে ময়নুলের বাড়িতে ঝড়ে তরুল গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়লে ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে মহসিনের বাবার ঘাড়ে পড়লে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়। ওই এলাকার শাইলপাড়া গ্রামের অনেকে বলেন ময়নুল হকের পরিবারটি খুবেই অসহায়ে জীবনযাপন করে আসছেন। এ খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর তিনি ছুটে গিয়ে 

ব্যক্তিগত ভাবে ঐ পরিবারটিকে সহযোগীতা করেন। এ ব্যাপারে ইউপি: চেয়ারম্যান প্রানজিৎ রায় পলাশের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে কোথায় কোথায় ক্ষতি হয়েছে গ্রাম পুলিশকে দেখতে বলেছি এবং বিষয়টি আমি দেখতেছি।


Post a Comment

0 Comments