বিজ্ঞাপন দিন

কিশোরগঞ্জে ইরি-বোরো ধানক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমন কৃষক দিশেহারা

বিপিএম জয়,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরঞ্জ উপজেলায় ইরি-বোরো ধান ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট (গলা পঁচা) রোগের আক্রমনে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পরেছে। একাধিকবার স্প্রে করেও কোন সুফল পাচ্ছেনা কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পাত্তা পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে কিটনাশক ব্যবসায়ীদের আক্রান্ত ধান গাছ উপরে নিয়ে গিয়ে দেখার পর তারা যে ওষুধ দিচ্ছে সেটাই জমিতে স্প্রে করা হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জ বাজেডুমরিয়া, রনচন্ডি, বাফলা ও কুটিপাড়ায় আক্রান্ত আধাপাকা ধান ক্ষেতের শীষগুলো শুকিয়ে গিয়ে সাদা হয়ে গেছে। শীষের গলায় পঁচন ধরেছে। কোথাও কোথাও আবার ধানের গোাড়া থেকে পঁচে যাচ্ছে।

বাফলা গ্রামের কৃষক আবু হানিফ জানায়, দুই বিঘা জমিতে আমি ব্রি আর ২৮ জাতের ধানের চাষ করেছি এখন ধান আধাপাঁকা হয়েছে। কিন্তু ধানের শীষ হঠাৎ করে শুকিয়ে যাওয়া শুরু করেছে। কয়েকটি ধানের গাছ উপরে স্থানীয় কীটনাশক ব্যবসায়ীকে দেখালে তারা জানায় নেক ব্লাস্ট (গলা পঁচা) রোগ ধরেছে। তাদের পরামর্শে পর্যায়ক্রমে নাটিভো ও ট্রুপারের সাথে কার্বন ডাইজিম প্রয়োগ করেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

রনচন্ডী কুটিপাড়া গ্রামের নিরঞ্জন রায় জানায়, তিনি এক বিঘা জমিতে ব্রি আর ১৪ জাতের ধান লাগিয়েছেন। ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে তিনি সর্বশান্ত হয়েছেন। তাকে আর এই মৌসুমে বাড়ি থেকে কাস্তে বের করতে হবেনা। তার ধানক্ষেত সমূলে পঁচে গেছে।

কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাজে ডুমরিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ মাস্টার জানায়, তার ৩২ শতাংশ জমির ধান ক্ষেত ব্লাস্ট রোগে দুই-তৃতীয়াংশ পঁচে গেছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠে কখনো দেখা যায়না।

কৃষক প্রফুল্ল্য রায়,মৃনাল রায়, নরেশ রায় ও বেনাম রায় জানায়, ধান ক্ষেত ব্লাস্ট রোগে নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের ধান ক্ষেতগুলোতে কাস্তে লাগানোর জায়গা নেই।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ব্লাস্টরোগে ধানক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে এমন সংবাদ পায়নি। তবে এবারে এ উপজেলায় ১১হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। ধানের ভালো ফলনেরও আশা করা হচ্ছে।

Post a Comment

0 Comments