বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করবেন ব্যারিস্টার তুরিন



আবেদ আলী স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর জলঢাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ। 

গতকাল বিকেলে জলঢাকা পৌরসভার মাথাভাঙ্গা এলাকার হরিজন সম্প্রদায়ের অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত ৭০/৮০টি পরিবারের সাথে তুরিন আফরোজের 

মতবিনিময় হয়। সেখানে উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন গণমানুষের সেবায় দৃঢ় প্রত্যয়ী এক স্বপ্ন চারিণী ব্যারিস্টার তুরিন। 

তিনি আরও বলেন, ধর্ম যারযার রাষ্ট্র  সবার। দেশের প্রতিটি নাগরিকের আছে ভালভাবে বেচে থাকার অধিকার। 

হরিজন পল্লীতে যারা বসবাস করেন তারাও তো রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। 

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। 

আপনাদের খোঁজ খবর কেউ না রাখলেও

আমি এবং আমার ফাউন্ডেশন (ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশন) আপনাদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসে হরিজন সম্প্রদায়ও সামনে এগিয়ে যাবে।

এসময় তার সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তার ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্নয়ক এনামুল হক, শিক্ষক সংঘের সভাপতি অনিল কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক ছপিয়ার রহমান,  সনাতন সম্প্রীতি সংঘের সভাপতি রঞ্জিত কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক অনিল কুমার রায়, মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রাম পরিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও  সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান প্রামাণিক সহ শতাধিক কর্মী।

হরিজন সম্প্রদায়ের শ্রীমতী মনি দাস বলেন, প্রশাসনের কাছে আমাদের জন্য রাষ্ট্রীয়  বরাদ্ধের দাবি করলেও কিছু পাইনা। আজ পর্যন্ত জলঢাকার কোন জনপ্রতিনিধি বা নেতা আমাদের খোঁজ খবর নিতে আসেননি। আজ প্রথম বারের মতো ব্যারিস্টার তুরিন আপা আমাদের খবর নিতে এসেছে। আমরা হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন অত্যন্ত খুশি ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

হরিজন সম্প্রদায়ের বিজয় দাস জানায়, আমরা হরিজন হওয়াতে সমাজে এবং রাষ্ট্রে নানাভাবে অধিকার বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার।

শ্রী শ্যামল দাস জানিয়েছে, আমাদের থাকার সুবন্দোবস্ত হয় না। আমাদের বাড়িগুলো এবং বাড়ি যাওয়ার রাস্তা অল্প বৃষ্টিতেই ডুবে যাওয়ার উপক্রম হলেও, আমাদের দিকে কেউয়ে ফিরেও তাকায় না।


Post a Comment

0 Comments