বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীর ডিমলায় টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে ঢলে আশা বৃস্টির পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। বুধবার গভীর রাতে ভারী বর্ষন হলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায়, ফলে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ০৯টি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়। এদিকে নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বন্যার্তদের জন্য ৪০মেঃ টন চাউল ও নগদ ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন। বৃহস্পতিবার বিকালে ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তেলিরবাজার মসজিদ পাড়ায় গেলে দেখা যায়, যাতায়াতের বাঁধ বন্যার পানিতে ভেঙ্গে প্রায় এক হাজার পরিবারের বসতভিটা পানিতে ডুবে যায়। এমনকি ফসলি জমিতে লাগানো ধান ক্ষেতও পানিতে ডুবে গেছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে গবাদী পশু এবং পরিবারের সদস্যরা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিলেও রান্না অভাবে সুকনো খাবারে যাচ্ছে তাদের দিন। তবে বন্যার্থদের দাবি খাবার চাই না, আমরা পানি রক্ষার বাধ চাই। বুুধবার রাত থেকে বসে নেই টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক। তিনি বন্যার্তদের মাঝে সুকনো খাবার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে, ০৯শত পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ত্রানের চাল বিতরণ করেন। সন্ধায় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড টেপাখড়িবাড়ীর তেলিরবাজারে পানিবন্দী ২২০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ৫কেজি চাল, এক লিটার তেল, এক কেজি লবন এক কেজি ডাল বিতরণ করা হয়। এসব সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথি ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী জ্যোতী প্রসাদ ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রংপুর মাহাবুবর রহমান। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী যান্ত্রিক রুবায়েত ইমতিয়াজ এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অমিতাব চৌধুরী প্রমুখ।

Post a Comment

0 Comments